যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির মাধ্যমে বুধবার ইসরায়েল ও ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর দক্ষিণ লেবাননে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। তবে ইসরায়েল সতর্ক করে বলেছে, কিছু এলাকায় এখনই মানুষের ঘরে ফেরা নিরাপদ নয়। দক্ষিণ লেবাননের টাইর বন্দরে গাড়ি ও ভ্যানে গদি, স্যুটকেস ও আসবাবপত্র বোঝাই করে নিয়ে স্থানীয়দের বাড়ি অভিমুখে ফিরতে দেখা গেছে। যুদ্ধবিরতির আগের কয়েকটি দিনে সেখানে তুমুল বোমা হামলা হয়েছিল। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের জোর হামলার মুখে অধিবাসীরা বাড়ি–ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়াতে সেইসব মানুষদেরই অনেকে এখন ফিরে আসছেন। ফিরতি মানুষদের গাড়িগুলোর কোনও কোনওটিতে উড়তে দেখা যাচ্ছে লেবাননের পতাকা। কোনও গাড়ির হর্ন বাজছে আবার ফিরতি পথে থাকা এক নারীকে আঙুল তুলে জয়ের ভি চিহ্নও প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। খবর বিডিনিউজের।
যেসব গ্রামে মানুষ ফিরে যাচ্ছেন, সেগুলোর অধিকাংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তারপরও বিকল্প বাসস্থানে বাড়িভাড়ার চাপে অনেক পরিবার আর্থিক কষ্টে পড়ায় আরেক মাসের ভাড়ার খরচ এড়াতে তারা এখন বিধ্বস্ত বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন কথাই বলেছেন কয়েকজন।
তবে অনেকে আবার বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে না ফিরে ফিরছেন পৈত্রিক ভিটায়। তেমনই একজন হুসাম আরউত। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন আর মূলত তিনি ছিলেন দক্ষিণ সীমান্তবর্তী গ্রাম মাইস আল–জাবালের বাসিন্দা। পৈতৃক ভিটায় ফিরছেন তিনি।
হুমাস বলেন, ইসরায়েলিরা পুরোপুরি সরে যায়নি। তারা এখনও সীমান্তে আছে। তাই আমরা সেনাবাহিনী কখন আমাদেরকে ফিরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেবে সে অপেক্ষায় আছি। তারা বললেই আমরা গাড়ি ঘুরিয়ে আবার গ্রামে ফিরে যাব। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়ে এলাকাতেও লোকজন তাদের বাড়িঘরের অবস্থা দেখতে ফিরে যাচ্ছে। প্রায় দুমাস ধরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় এই এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল।