বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল : দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আলহাজ্ব সুলতান আহমদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মাওলানা ফেরদৌসুল আলম খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ। দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি আলী হোসাইনের সঞ্চালনায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ সোলাইমান ফরিদ।
লিখিত প্রবন্ধে সোলাইমান ফরিদ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্য ১২ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হল ১. ওয়ান সিটি টু টাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পায়ন ও পর্যটনের অপার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে কর্ণফুলী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী ও মহেশখালী ঘিরে একশত বছরের একটি ডিটেইলড মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. কালুরঘাটে একটি নতুন সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ৩. উচ্চতর শিক্ষার সহজ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেয়াং পাহাড়ে মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর নামে দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৪. চিকিৎসাবিজ্ঞানী প্রফেসর ডা. নুরুল ইসলামের নামে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ/একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৫. টানেলের পরিপূর্ণ সুফল দ্রুত পেতে হলে টানেলের পূর্বাংশে তথা কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে পরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন করতে হবে। ৬. সাবেক পটিয়া মহকুমাকে দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলায় রূপান্তর করতে হবে। ৭. দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষকে বন্যা থেকে রক্ষা করার জন্য দোহাজারী, কক্সবাজার রেললাইনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। ৮. কক্সবাজারে যাতায়াত দ্রুত ও সহজ করতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক প্রকল্প ছয় লেনের দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ৯. সমুদ্র পাড় ঘেঁষে মীরসরাই, আনোয়ারা হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন–ড্রাইভ মহাসড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নসহ চট্টগ্রাম–বাঁশখালী–টইটং সড়ককে কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়কে রূপান্তর করতে হবে। ১০. পটিয়া শ্রীমাই খালের উপরে ব্রিটিশ আমলের উৎপাদনকৃত স্থানে খনিজ গ্যাস সম্পদ পুনরায় উৎপাদনের পদক্ষেপ নিতে হবে। ১১. পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ পাহাড়ি এলাকায় অমূল্য খনিজ সম্পদ হোয়াইট স্টোন তথা সাদা পাথরের পাহাড়কে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ১২. পটিয়া হাইদগাঁও–রাঙ্গুনিয়া বাঙ্গালহালিয়া সড়ক বাস্তবায়ন করতে হবে।
এতে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, ডায়মন্ড সিমেন্ট গ্রুপের ডিজিএম মোহাম্মদ আবদুর রহিম, গবেষক সোহেল মোহাম্মদ ফখরুউদ্দিন, সাবেক ভাইস–চেয়ারম্যান সৈয়দ এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, মাস্টার আবুল হোসাইন, মহিউল আলম চৌধুরী, সৈয়দ আমান উল্লাহ সমরকন্দি, কাজী শাকের আহম্মদ চৌধুরী, ডিআইএম জাহাঙ্গীর আলম, মাস্টার আলী খান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।