সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই চলছিল সমানে সমান। প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছেতো পরের ম্যাচে জয় বাংলাদেশের। আবার পিছিয়ে পড়ে ফেরায় সমতা। তাই শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফাইনাল। আর সে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে পরাজিত করে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৩ উইকেটে। পঞ্চম যুব ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ২১০ রানে বেঁধে রেখে ১৭ বল বাকি থাকতেই তা ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। প্রথম চার ম্যাচে দুটি করে জিতেছিল দুই দল। অলিখিত ফাইনালে পরিণত হওয়া শেষ ম্যাচে সম্মিলিত পারফরম্যান্সে সিরিজের ট্রফি নিজেদের ঘরেই রাখল বাংলাদেশ।
টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০ রানের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনারকে ফেরান রিজান হোসেন। গিলবার্ট প্রিটোরিয়াস ৮ এবং থিবি গ্যাজাইডে করেন ৫ রান। দলের স্কোর পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগেই ফিরেন ওয়ারেন ফন জাইলও। চতুর্থ উইকেট জুটিতে চাপ সামাল দেন ডেভিড টিজার ও রিচার্ড সেলেৎসোয়ান।
৫২ রানের জুটিতে একশ পার করে সফরকারীরা। ২৭ রান করা সেলেৎসোয়ানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আরিফুল। এরপর জুয়ান জেমসকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন টিজার। সিরিজে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬৭ বলে। টিজারকে আর বেশি দূর যেতে দেননি রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ। ৮৯ বলে ৬৩ রান করে ফিরেন তিনি। পরের ওভারে ৩২ রান করা জেমসকে ফেরান রাফিউজ্জামান রাফি। এরপর আর কেউই তেমন টিকতে পারেননি। শেষ দিকে লিয়াম অ্যাল্ডারের ৮ বলে ২০ রানের ইনিংসে দুইশ পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মাহফুজুর। এ ছাড়া বর্ষণ, রিজান, রাফি নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন দুই ওপেনার আদিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনের ৪০ রানের জুটি আসে ৪০ বলে। যেখানে সিংহভাগ কৃতিত্ব অবশ্য আদিলেরই। রিজওয়ান ২১ বলে ১৩ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর টিকতে পারেননি রিজানও। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও দলের ওপর চাপ আসতে দেননি আদিল ও আরিফুল। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ৮৭ রানের জুটি। ৫৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আদিল। গত অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি করা আরিফুলের পঞ্চাশ ছুঁতে লেগেছে ৪৪ বল। আদিল ফিরলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরিফুল। কিন্তু অপর প্রান্তে সঙ্গ দিতে পারেননি নাঈম আহমেদ, শিহাব জেমস, আশরাফুর জামানরা। পরে আরিফুল ফিরে এলে দুইশর আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে রাফির সঙ্গে ২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে নিরাপদেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহফুজুর। আরিফুল করেন ৬৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে অ্যাল্ডার ২৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর জেমস ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৭৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন আরিফুল ইসলাম।