থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বেচাকেনার কথা স্বীকার কনস্টেবল রিয়াদের

আদালতে জবানবন্দি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২২ মার্চ, ২০২৫ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড় ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. রিয়াদ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা হলেন আবদুল গণি, আবু বক্কর, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. ইসহাক। তারা কনস্টেবল রিয়াদের সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কনস্টেবল রিয়াদ চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদ, আবু বক্কর ও মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে অস্ত্র কেনাবেচায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুই আসামি আবদুল গণি ও ফরহাদ হোসেনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। আরেক আসামি ইসহাক জবানবন্দি না দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, পতেঙ্গা থানাপুলিশ অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে। তাদের মধ্যে তিনজন জবানবন্দি দেন। বাকি দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র পুলিশের। জেলার লোহাগাড়া থানা থেকে এগুলো গত আগস্টে লুট হয়েছিল। বিস্তারিত তদন্তে বের করা হবে।

এদিকে গতকাল পতেঙ্গায় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় নগরের কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক তদন্ত আফতাব হোসেন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চাঁদপুর জেলায় কর্মরত কনস্টেবল রিয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদকালে দীর্ঘদিন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার সঙ্গে জড়িত চক্রের বাকি পাঁচ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরের পতেঙ্গার কাঠগড় এলাকায় আসামি আবদুল গণির কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নগরের আটটি থানা ও আটটি ফাঁড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় ৮১৩টি অস্ত্র এবং ৪৪ হাজার ৩২৪টি গুলি লুট হয়। এর বেশির ভাগ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি বলে জানায় পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাজার কোটি টাকার কয়লার চালানে বিপুল পরিমাণ মাটি
পরবর্তী নিবন্ধনগরজুড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট