বান্দরবানের থানচি উপজেলায় রেমাক্রী ইউনিয়নে খাদ্য সংকটে থাকা ৬৫ জুমিয়া পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় চাল ৪ টন, আলু ১৫০ কেজি, নাপ্পি ১৫০ কেজি, শুটকি ১৫০ কেজি, লবণ ১৫০ কেজি ও ডাল বিতরণ করা হয়েছে। বিজিবির উপস্থিতিতে পাড়ার লোকজনদের এসব ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী থানচি উপজেলার বুলু পাড়া, মেনহাত পাড়াসহ খাদ্য সংকট রয়েছে এমন পাড়াগুলোতে নিজস্ব উদ্যোগে সংগৃহীত নিম্নোক্ত ত্রাণ সামগ্রী ১৫টি নৌকাযোগে নিয়ে যায়।
এদিকে খাদ্য সংকটের খবরে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রি ৬৫ জুমিয়া পরিবারের ২৭০ জনের মত লোকের মাঝে দেয়া হয়েছে তা দিয়ে আগামী ছয় মাস পর্যন্ত খাওয়া যাবে। তবে ত্রাণের সামগ্রী পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনগুলোর কাছে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছানো হয়েছে দুতিন মাসেও শেষ হবার কথা নয়। জুমের ফলন পাকার আগমুহূর্তে প্রতিবছরই এমন সংকট দেখা দেয় পাহাড়ের কিছু এলাকায়। বিষয়টি নিরসনে বছরের সংকটকালীন মুহুর্তগুলো ঠিক করে প্রতিবছরই জুমচাষিদের ত্রাণ সহযোগিতার স্থায়ী একটা প্রদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, সংকটের ত্রাণ যাতে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে না পৌঁছায় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। বিষয়টি গুঞ্জন শোনার পর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।