নতুন আন্তর্জাতিক গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করার সাহস দেখিয়ে বিস্তর ভোগান্তিতে পড়লেন থাইল্যান্ডের মেয়েরা। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের কোন জবাব এলো না তাদের কাছ থেকে। থাই মেয়েদের মামুলি পুঁজি টপকাতে প্রবল গরমের মধ্যে খুব বেশি সময় নিতে চাইলেন না বাংলাদেশের ওপেনার শামীমা সুলতানা। তার ঝড়ে খেলা শেষ হয়ে গেল তড়িঘড়ি।
আজ শনিবার সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ডে থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে যায় থাই মেয়েরা। জবাবে ৫০ বল আগেই ম্যাচ শেষ করে দেয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
মাত্র ৩০ বলে ১০ চারে ৪৯ রান করেন শামীমা। এর আগে বল হাতে অবদান কয়েকজনের। লেগ স্পিনে স্রেফ ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রুমানা আহমেদ।
বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার ১১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট, আরেক বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার মেঘলাও ১১ রান দিয়ে ধরেন ২ শিকার। সোহেলি আক্তার ১৮ রানে পান ২ উইকেট। অভিজ্ঞ সালমা খাতুন ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় পান ১ উইকেট।
নতুন উইকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে থাইল্যান্ড। পঞ্চম ওভারে তারা হারায় প্রথম উইকেট। পাওয়ার প্লের পর তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৬ রান! দলটি প্রথম বাউন্ডারির দেখা নবম ওভারে গিয়ে।
উইকেট ছিল মন্থর, বল কিছুটা নিচুও হচ্ছিল। সিলেটের মাঠে নিয়মিত খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ জানত কি করতে হবে। পেসার জাহানারা আলম বল করলেন কেবল ২ ওভার। বাকি পুরোটাই স্পিন দিয়ে সারলেন নিগার।
সালমাকে কোনমতে সামলালেও দুই বাঁহাতি স্পিনার বল করতে আসতেই দিশেহারা হয়ে যায় থাইল্যান্ড। পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট।
থাইল্যান্ডের হয়ে বলার মতো রান করেন পানিতা মায়া। ২২ বলে ২৬ করেন এই ব্যাটার। নাথাকান চানথাম ২০ রান করলেও লাগিয়ে গেলেন ৩৮ বল। আর কেবল দুজন দুই অঙ্কে যেতে পেরেছিলেন। সর্নারিন টিপক ও রোসনেন কোনাহ ১০ ও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি।
থাই ইনিংসের শেষ দিকে হানা দেন রুমানা। তার লেগ স্পিন সামলানোর দক্ষতা ছিল না দলটির।
সহজ লক্ষ্য পেরুতে নেমে খুনে মেজাজে ইনিংস শুরু করেন শামীমা। একের পর এক বাউন্ডারিতে এলোমেলো করে দিতে থাকেন প্রতিপক্ষের বোলিং।