একসাথে দুইজনের সাথে প্রেম করেন এক কলেজছাত্রী। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই দুই তরুণ পরষ্পরের সাথে যোগাযোগ করে হাজির হন মেয়ের পরিবারের কাছে। এতে ওই কলেজছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এদিকে ওই দুই তরুণকে দিনভর আটকে রেখেছে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
গতকাল ৩১ আগস্ট দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের শীলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্রীর বাবা জানান, সকালে তিনি দোকানে ছিলেন। এসময় দুই তরুণ তাকে ফোন করে বাড়িতে আসতে বলেন। তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন ওই দুইজন তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছে। এরমধ্যেই পাশের ঘর থেকে চিৎকার শুনে তিনি ছুটে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে ওই দুই তরুণের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
ঘটনাস্থলে থাকা দুই তরুণের একজন সজিব দাস জানান, তিনি শহরের একটি গয়নার দোকানে কাজ করেন এবং প্রায় এক মাস ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক।
অন্যজন প্রতীক, কাপ্তাইয়ের একটি সরকারি কলেজের ছাত্র। তার দাবি, চার মাস ধরে মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক। প্রতীকের কাছে মেয়েটির ফেইসবুক পাসওয়ার্ড থাকায় তিনি সজিবের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন।
প্রতীক বলেন, ‘পরে আমরা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিই, বিষয়টি মেয়ের পরিবারকে জানাব, যেন ভবিষ্যতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সেই উদ্দেশ্যেই আমরা একসঙ্গে তার বাড়িতে এসেছিলাম। মেয়ের সঙ্গে আমাদের দেখাও হয়নি।’
ঘটনার পর প্রতীকের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে জানান, তারা এ বিষয়ে আগে কিছুই জানতেন না।
দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য নীলু আক্তার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।