‘আমার অনেক কষ্ট আছে’ কষ্ট ছিল, থাকবে / তাই বলে কি বুকের ভেতর সবটা পুষে রাখবে? কেমন হতো! তা থেকে ঠিক একটু শেয়ার করলে/ করলে না তো একাই বয়ে চুপটি ঝরে পড়লে। ‘তোর জন্যে কষ্ট আমার’ কার জন্যে এই কষ্ট! ‘নীল ডানা এক পাখি’ হয়েও করলে না তা পষ্ট! ‘হারিয়ে যাওয়া দুপুরে’ যেমন যেতে হারিয়ে-আসতে ফিরে পাথরঘাটার সবটা পাথর মাড়িয়ে। ‘আমার জন্মভূমি বাংলাদেশ’এর মোহন রাজপুত্র/ পরকে আপন করার ছিল মায়াবী এক সূত্র।
তোমার মুখের হাসির ছোঁয়ায় আসত কাছে সকলে, নিয়েছিলে এক এক করে সবার মনকে দখলে। ‘খুকি ও রবীন্দ্রনাথ’ ‘এর আঁকতে ছবি খাতায়, ‘মিঠু তুমি স্বাধীনতা’ আঁকলে সবুজ পাতায়। ‘রেল ছোটে মন ছোটে’র মনকে নিয়ে সঙ্গে/ হৈ হুল্লাড়ে দিন কাটাতে সোনার স্বদেশ বঙ্গে। ইচ্ছে ছিল ‘সবুজাভ কোন গ্রামে’ যাইতে/ ঝিঙে তলে ফিঙে নাচের কাজল জলে নাইতে। শুনতে ‘দিবা ও রহস্যময় বুড়ো’র নানান কাহিনি, ‘কিশোর নেমেছে যুদ্ধে’ রুখতে শত্রু বাহিনী। “এক যে ছিলো রাজকন্যে” সেই কন্যের জন্যে/ হারিয়ে যেতে মন পবনে দূরের জনারণ্যে। ‘আকাশপরি ও পাপিয়া’রা থাকত অবাক তাকিয়ে, ‘ছড়ার গাড়ি থামবে বাড়ি’ ছন্দ-গায়ে মাখিয়ে। এমন মানুষ মধুর মানুষ হঠাৎ করে হারালে, কার না মনে পড়বে বলো, সামনে দু’পদ বাড়ালে এই শহরের সবটা গলি বিষম বিষম ফাঁকা, তোমার জন্যে সরলরেখাও এখন লাগে বাঁকা।