নগরীর চাক্তাই ভেড়া মার্কেটের বস্তিতে আবু তৈয়ব হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার। তারা অভিযোগ করেছেন, আসামিরা মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। গতকাল সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান নিহতের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তারের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তার মেয়ে সুইটি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ হত্যাকান্ডের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কসাই আকতার, ইয়াবা হাসিনাসহ সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও কসাই আকতারের ভাই এজাহারভুক্ত আসামি কসাই মুন্না ও বিএনপি কবিরসহ অনেক আসামি এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তারা এখন বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। খুনীরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হুমকির মধ্যে রয়েছে। এজন্য মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযোগপত্র দাখিলের পাশাপাশি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুানালে স্থানান্তরের আবেদন জানান নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার। তিনি বলেন, আমার স্বামী ফিশারিঘাটে মাছের ট্রলারে শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন। তার ক্ষুদ্র আয়ে আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলের সংসার চলত। সবার বড় মেয়েটির বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে যাওয়ার দিনই তারা আমার স্বামীকে ফোন করে সালিশের নামে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারানোর পর থেকে বর্তমানে তাদের আর্থিক কষ্টে দিন যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনের পুরোটা সময় জুড়ে নিহতের স্ত্রী, তিন ছেলেমেয়েদের কান্নায় মিলনায়তনের শোকের পরিবেশ তৈরি হয়। পরে শাহানা আক্তারের মেয়ে সুইটি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান। এসময় তার দুই ভাই শাহজাহান, তারেকসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই এলাকায় আবু তৈয়বকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় পরদিন নিহতের ছেলে মো. শাহজাহান বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় আকতার হোসেন প্রকাশ কসাই আকতারসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দাায়ের করেন।