৫ আগস্টের পর থেকে বন্ধ থাকা শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল আদায় আবারো নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত ১৯ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুতে টোল নেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে পুনরায় টোল আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছার খবরে এতদিন টোল বন্ধের জন্য যারা আন্দোলন করে আসছিলেন তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
টোলবন্ধ আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন বলেন, আবার যাতে টোল নিতে না পারে তার জন্য আমরা শনিবার (কাল) সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করব। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এর জোরালো প্রতিবাদ জানাবো।
বাঁশখালীসহ দক্ষিণের কক্সবাজারগামীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ২৩তম কিমি. অংশে শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয় ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি। ৫ বছর পর নির্মাণ কাজ শেষে ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে টোল আদায় এবং বৃদ্ধি করতে থাকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া যাওয়ার একমাত্র সেতু শঙ্খ নদীর উপর অবস্থিত এই তৈলারদ্বীপ সেতুটি। এর মধ্য দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে।
বাঁশখালীসহ কক্সবাজারগামী যাত্রীদের অভিযোগ ছিল– শঙ্খ নদীর তৈলারদ্বীপ সেতুটি কম দূরত্বে বেশি টোল আদায়ের অন্যতম নজির। টোল আদায় নিয়ে দীর্ঘদিনের সঞ্চিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে হাসিনা সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট। সেদিন টোলঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর কয়েকবার টোল নিতে চাইলে এবং টোলঘর নির্মাণ করতে চাইলে ছাত্রজনতার প্রতিরোধে তা হয়ে উঠেনি।
সর্বশেষ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুনরায় টোল আদায়ের নির্দেশ এলো। একটি অংশ এর বিরোধিতা করলেও টোল আদায়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলছেন অনেকে।