শৈশবে খাওয়া এবং ব্যবহারে দুই ধরনের তেল দেখেছি। ১. সরিষার তেল ২. নারিকেল তেল। সরিষার তেল রান্নায় ব্যবহার করা হতো আবার মাথায় গায়েও দেওয়া হতো। শিশুদের বেশী ব্যবহার হতো। নারিকেল তেল মাথায় ও হাতে পায়ে দিত। এখন রান্নায় সোয়াবিন তেলের প্রচলন বেশি। কিন্তু ইদানীং এমন তেল উদ্ভাবন হয়েছে যা বাজারে বিক্রি হয় না বা টাকা দিয়েও ক্রয় করা যায় না। আবার সেই তেল মারলে গায়েও লাগে না, খাওয়াও যায় না। কী এক অদ্ভূত তেল ভেবে দেখুন! ঐ তেল আবার সবাই ব্যবহার জানে না। এমন কিছু লোক আছে নেতা বা পয়সাওয়ালা লোকের আশে পাশে থাকে। সুযোগ বুঝে টুক করে টোপ দিয়ে তৈল মর্দন শুরু করে। সুনাম করে পাম্পপট্রি মারে এবং অন্যের বদনাম সমালোচনা করে। যতক্ষণ পযর্ন্ত না ঘামে ততক্ষণ মারতে থাকে (যে যে রকম চায় আর কি) একসময় ঐ পয়সাওয়ালা তৈল মর্দনকারীকে খুব গুরুত্ব দিতে থাকে। ঐ দুষ্ট লোকের বাজে কথা শুনতে খুব মজা পায়। প্রশ্রয় পেয়ে শুরু হয় প্রতিনিয়ত দালালী চামচাগিরি। সুযোগ বুঝে জায়গা করে নেয় অর্থ উর্পাজনের রাস্তা। লোভ লালসার কারণে নিজের ব্যক্তিত্ব সম্মান সব অর্জনকে বিসর্জন দেয়। পরিচিতি লাভ করে চামচা বা খাস মানুষ হিসাবে তবে এতে কখনোই লজ্জিত নয় এরা। এখন সমাজে ঐ ধরনের চামচাদের আনাগোনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে সমাজটা তেলে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা যে তেল খাই তা দিয়ে শরীর খারাপ করে। মানুষ মানুষকে যে তেল মারে তাতে সমাজ নষ্ট করে। এরা নিজের স্বার্থের জন্য অন্যের ক্ষতি করে, ঘর ভাঙ্গে, সামাজিকতা, সম্মান সব বিলীন করে দেয়। নিজের এবং নিজ পরিবারের আত্মসমালোচনা না করে সারাক্ষণ অন্যের অযাথা অর্থহীন কুরুচিপূর্ণ সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কখনো কারো ভালো চায় না। ঐ সব করে ছোট মনে মানুষগুলো খুব আনন্দ পায়। আমার এক বড় ভাইকে যখন বললাম সুখে থাকতে হলে তৈল মর্দন করা শিখতে হবে। উত্তরে ভাই বললো ঐ সবের মধ্যে মোটেও যেও না বা চিন্তা কর না। আজ কাল শয়তানের আদর, দুষ্টের কদর বেশি। তুমি তা পারবে না। ভালো মানুষের আর সত্য ন্যায় এখন সমাজে কোন মূল্য নাই। তবে ভালো সৎ সম্মানী মানুষের কদর ছিল আছে থাকবে চিরকাল।