ইসরায়েলের অন্যতম নগরী তেল আবিবের পথঘাট ফাঁকা হয়ে পড়েছে। প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং রাতের আমোদের শহর এটি। নতুন করে ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের পথঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ে। তেল আবিবের পথঘাট–সৈকত সাধারণত কোলাহলপূর্ণ থাকে। তবে এখন পর্যটকরা খুব বেশি আর আর সড়ক–পথঘাটে যাচ্ছেন না। বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ানো এক সুইস দম্পতির একজনের জিজ্ঞাসা, শনিবার বলে কি সবকিছু বন্ধ, নাকি যুদ্ধের সময়? খবর বাংলানিউজের।
তারা জাফার কাছে একটি খাবারের দোকান খুঁজছিলেন। কেন সবকিছু এত ভয়ঙ্কর শান্ত ছিল, তা নিয়ে তারা নিশ্চিত ছিলেন না। শহরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বন্ধ ক্যাফের সামনে কয়েকজন ইসরায়েলি একত্রে বসে বিড়ি ফুঁকছিলেন। তাদের একজন আরেকজনকে বলছেন, কিছু হাওয়া দরকার, চাপের মধ্যে লোকজন দেখা দরকার। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল না যে, তারা একজন আরেকজনকে চেনেন। এই আগুন্তকেরা উদ্বেগের মধ্যেই একত্রিত হয়েছিলেন। শনিবার সকালে হামাস হঠাৎ করেই ইসরায়েলে হামলা চালায়। কয়েক হাজার রকেটে ছোড়ে হামাস। এতে তেল আবিব ও জেরুজালেমে সাইরেন বেজে ওঠে। গাজা থেকে সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়ে। বিপরীতে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালায়। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় কয়েকশ লোকের হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। হামাস বেশ কিছু সংখ্যক ইসরায়েলিকে গাজায় বন্দিও করে রাখে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তেল আবিবের বাসিন্দারা ঘরের ভেতরে থেকে চোখ রাখছেন স্ক্রিনে। বন্ধু ও স্বজনরা নিরাপদে রয়েছেন কি না তা শোনার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন তারা।