তিনি কখনও সাংবাদিক, কখনও সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। আদতে তিনি একজন প্রতারক। তার নাম এসএম মিজান উল্লাহ সমরকন্দি (৩৮)। এবার তিনি ধরা পড়েছেন র্যাবের হাতে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর পাহাড়তলী এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মিজান সাতকানিয়ার পুরানগড় এলাকার মাওলানা ফরিদুল আলম সমরকন্দির ছেলে। এর আগেও নগরীর কর্নেলহাট, হালিশহর, বন্দর ছাড়াও জেলার রাঙ্গুনিয়া ও সাতকানিয়ায় কয়েকবার আটক হন প্রতারক মিজান উল্লাহ সমরকন্দী। তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকও। ‘স্বীকৃতি’ নামে একটি এনজিওর নাম দিয়ে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয় একটি আঞ্চলিক দৈনিকে। ২০১৮ সালে ওই এনজিওর নামে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত শাখা অফিসে নিয়োগ পাওয়া ২৬ জন কর্মকর্তার জামানতের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তার ও সহযোগী মিজান।
এর আগে ২০১৮ সালের ৬ মে দুপুরে রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ইউনিয়নের রাণীরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে আটক হন সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্দি ও পারভীন আকতার। তারা রাণীরহাট বাজারের সাজ্জাদ বেকারিতে গিয়ে নিজেদের পরিবেশ আদালতের ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের চেষ্টা চালান। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ওষুধালয় নামে একটি দোকানে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় সৈয়দ মিজান উল্লাহ (৩৫) ও ফারদিন আহমেদ (২৪) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আকবর শাহ থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পারভীন আকতার পালিয়ে যান। মিজানের বিরুদ্ধে নগরীর আকবরশাহ, পতেঙ্গা, পাঁচলাইশ, সাতকানিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও দস্যুতা মামলা রয়েছে পাঁচটি।
র্যাব–৭ জানায়, ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। এছাড়া দস্যুতা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিও তিনি। পাহাড়তলী এলাকায় তার অবস্থানের খবর জানতে পেরে গ্রেপ্তার করা হয়।