আমি কিভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবো। সে কয়েক জায়গা থেকে ব্যবসার জন্য কিস্তি নিয়েছিল। ছেলে মেয়েদের কি করে পড়ালেখা করাবো। আমি শেষ হয়ে গেছি। কেঁদে কেঁদে কথাগুলো বলছিলেন সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ফৌজদারহাট এলাকার বাসিন্দা দুর্ঘটনায় নিহত অজিত দাসের স্ত্রী টকিরানী দাস। তিন সন্তান নিয়ে কী করবেন তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
সোমবার ভোরে মহাসড়কের সলিমপুর সিটি গেইট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের সংঘর্ষে ভয়াবহ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন অজিত দাস (৪০)। এদিন দুপুরে তাদের বাড়িতে গেলে দেখা যায় এক শোকাবহ পরিবেশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার বড় মেয়ে প্রেমা দাস সহ স্বজনরা। প্রেমা দাস পড়ে নবম শ্রেণীতে। অন্যদিকে বাবা হারানোর ব্যথা এখনো বুঝতে পারছে না অজিতের ৮বছর বয়সের ছেলে প্রমিক দাস ও ৩ বছর বয়সের ছোট মেয়ে প্রেমশ্রী দাস ।
অজিতের বড় ভাই বলেন পরিবারটি অজিতের উপার্জনের উপর নির্ভর ছিল। তাকে আমি ফিশারিঘাটে মাছের জন্য যেতে নিষেধ করেছিলাম। সে আমাকে বললো, বাড়িতে বসে থাকলে সংসার চলবে কি করে। এ কথা বলে সে বাড়ি থেকে শেষ বারের মতো বের হয়ে গেছে। অজিত অনেক দিন থেকে আমাকে বলে আসছিল এবার কিছু টাকা পয়সা হলে সে ভেঙে যাওয়া বাড়ির কিছু অংশের কাজ করবে । প্লাস্টিক দিয়ে লাগানো দরজা অনেকটা নড়বড়ে। সেসব মেরামত করতে হবে। কিন্তু তা আর হলো না।