খাগড়াছড়িতে চিকিৎসক–নার্সসহ অন্যান্য জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে চালু করা যাচ্ছে না লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স। ২০২১ সালে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রদানের পর থেকে পড়ে রয়েছে সদর হাসপাতালে। তিন বছরে একদিনের জন্যও সচল হয়নি উপহারের অ্যাম্বুলেন্সটি। দেশের অন্যান্য হাসপাতালের মতো খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটি উপহার দেয় ভারত সরকার। তিন বছরের বেশি সময় অ্যাম্বুলেন্সটি প্রদানের পর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদর হাসপাতালের পেছনে অযত্নে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি। ইতোমধ্যে গাড়িটির অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। সেটি আর সচল করা যাবে কিনা তাও জানে না কর্তৃপক্ষ। খাগড়াছড়ির কোনো হাসপাতালে নেই আইসিইউ সম্বলিত স্বাস্থ্য সেবা। মুমূর্ষু রোগীদের চট্টগ্রাম ও ঢাকা নিয়ে যেতে অনেক সময় ঝুঁকি নিতে হয় স্বজনদের। দ্রুত চিকিৎসক, নার্স ও চালক সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চান নাগরিক সমাজ।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা স্বাস্থ্য কমিটির আহ্বায়ক জহুরুল আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এতো মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্সটি কোনো কাজে আসছে না। এটি চালু করা গেলে সাধারণ মানুষ সেবা পেত। আইসিইউ সুবিধা পেলে অনেক অসুস্থ রোগী সেবা পাবে।
কাঙ্ক্ষিত সেবা চালু করতে প্রশিক্ষিত জনবল ও যন্ত্রাংশ ছাড়া সম্ভব নয় বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপন বাপ্পী জানান, ২০২১ সালে অ্যাম্বুলেন্সটি আনার পর থেকে কোনো রোগীকে আনা নেওয়া করা সম্ভব হয়নি। সবচেয় বড় কথা আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স চালানোর দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন। আইসিইউ চালানোর মতো কেউ নাই। এজন্য আমরা এটি কাজে লাগাতে পারিনি। অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।