পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন না করে ডায়িং কারখানা পরিচালনা, ইটিপি বন্ধ করে পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন, আমদানিকৃত মাংসের কন্টেনার থেকে পচা মাংস অপসারণ না করে গন্ধ ছড়ানোর অপরাধে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার পৃথক শুনানীতে তিন প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নূরুল্লাহ নূরী।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়তলী বার কোয়ার্টার ডিটি রোডের মেসার্স সাইফা এক্সেসরিজ নামের প্রতিষ্ঠান সুতা পেঁচানোর অনুকূলে ৎপরিবেশ ছাড়পত্র নেয়। কিন্তু অননুমোদিতভাবে ডায়িং কার্যক্রম পরিচালনা করার অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক আবুল মুনসুর মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাড়পত্র না নিয়ে ডায়িং কারখানা পরিচালনার সত্যতা পান। এরপর তাদের শুনানীতে ডাকা হয়। বুধবার শুনানীতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
নগরীর আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলীতে দীর্ঘদিন ধরে ইটিপি বন্ধ রেখে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখার অপরাধে জিনডে ইলাস্টিক কোম্পানি নামের প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক মিয়া মাহমুদুল কারখানাটি পরিদর্শন করে ইটিপি অকার্যকর পান। এরপর প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষকে নোটিশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। গত রোববার শুনানীতে জরিমানার পাশাপাশি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জলাধার হিসেবে চিহ্নিত নয়, এমন ভূমিতে কার্যকর পূর্ণাঙ্গ ইটিপি স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়।
অন্যদিকে আগ্রাবাদ এবং রাজধানীর সিআর দত্ত রোড এলাকার দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ভারত থেকে মহিষের মাংশ আমদানি করে নগরের বন্দর এলাকায় কন্টেনার থেকে পরিবেশ সম্মত উপায়ে অপসারণ না করে গন্ধ ছড়ানোর অপরাধে আগ্রাবাদের মেসার্স কর্ণফুলী লিমিটেড ও ঢাকার ইগলু ফুডস লিমিটেডকে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ আরোপ করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তাছাড়া পরিবেশ সম্মত উপায়ে কন্টেনার পরিষ্কার, পচা মাংস হতে যেন মাটি, পানি ও বায়ু দূষণ না হয়, এজন্য সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।