বান্দরবানের লামায় অপহরণের ৩ দিন পর ছাড়া পেয়েছেন অপহৃত ২৫ রাবার শ্রমিক। শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি–লামা সীমান্তের বাইশরী ঝিরি এলাকা থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি এলাকায় ছয়টি রাবার বাগানে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে ২৫ জন রাবার বাগানের শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতদের মুক্তিপণ বাবদ জনপ্রতি এক লাখ করে দাবি করে অপহরণকারীরা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্য অপহৃতদের উদ্ধারে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালায়। যৌথ বাহিনীর অভিযানে চাপে পড়ে অস্ত্রধারীরা অপহৃতদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে দাবি যৌথ বাহিনীর। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, অপহৃত ২৫ শ্রমিকের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নেয়া হয়েছে।
মুক্তি পাওয়া শ্রমিকরা হলেন– নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ক্যংগার বিল এলাকার অধিবাসী মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. ছিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আবদুল মাজেদ। উপজেলার আলিখ্যং এলাকার অধিবাসী মনিরুল ইসলাম, মোবারক, মো. হারুন, রমিজ উদ্দিন, ছৈয়দ নুর, মো. কায়সার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান। কঙবাজার জেলার ইদগড় ইউনিয়নের মঞ্জুর, আফসার আলী, খায়রুল আমিন, আবু বক্কর, মো. আবদুর রাজ্জাক, মুবিন। বাকি ৬ শ্রমিকের নাম পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি–লামা সীমান্তের বাইশরী ঝিরি এলাকা থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। মুক্তিপণের বিষয়ে জানি না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন জানান, উদ্ধারের পর রাবার বাগানের ১২ জন শ্রমিককে পার্শ্ববর্তী কঙবাজার জেলার ঈদগাঁ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা কঙবাজার, রামুসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মুক্তিপণের জন্য শ্রমিকদের অপহরণকারীরা মারধর করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারিতে একই উপজেলার সরই ইউপি থেকে দুই দফায় ১৪ জন শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল।
