তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরওয়ার গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৮ জুলাই, ২০২৪ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সারোয়ার হোসেন ওরফে সরওয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে বায়েজিদ থানাধীন চালতাতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবীর আজাদীকে বলেন, গত ১৮ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে বহদ্দারহাট এলাকায় হত্যাকাণ্ড এবং পুলিশবক্স জ্বালানো, থানায় হামলাসহ নাশকতার ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ১৮ জুলাইয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা ও নাশকতা মামলা দুটিতে তাকে আসামি হিসেবে আজ আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের তথ্য মতে, সরওয়ার হোসেন সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার কালা মুন্সির বাড়ির খোন্দকারপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রায় ১৯টি মামলা রয়েছে। ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর প্রবর্তক মোড়ে একটি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে ১১ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আলোচনায় আসেন সরওয়ার। একই বছরের ৬ জুলাই বায়েজিদ এলাকা থেকে তাকে একে৪৭ রাইফেল ও গুলিসহ আটক করে পুলিশ।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ করার আগে সরওয়ারকে চাঁদা দিতে হয়। তার বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতি এবং নাছিরাবাদ ও বায়েজিদ শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজি করে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

পুলিশের তথ্য মতে, ২০১৭ সালে জামিনে বেরিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন (পরে নিহত) ও সরওয়ার কাতারে আত্মগোপনে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এক গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফোনে চাঁদা দাবি করে সরওয়ার, ম্যাক্সন ও একরাম। তাদের হয়ে চাঁদাবাজির কাজ করত অনুসারীরা। তাদের কথামতো চাঁদা না দেওয়ায় একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বায়েজিদের নয়াহাটে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। এরপর কাতারে বসে বাংলাদেশে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে বাংলাদেশে পৌঁছালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট মোড়ে কোটা আন্দোলনের মধ্যে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়, সে ঘটনায় অন্যতম সমন্বয়কারী ভূমিকা পালন করেছিল এই সরওয়ারএমনটাই দাবি পুলিশের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেসবুকে গুজব, সচেতন হওয়ার পরামর্শ
পরবর্তী নিবন্ধ‘চট্টগ্রামে হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ৪-৫ শতাংশ’