তখন ঘড়ির কাটায় ভোর সাড়ে ৪টা, প্রতিদিনের ন্যায় পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে যেতে পতেঙ্গা থানাধীন কাটঘরের ধুমপাড়া এলাকায় তার বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন মনির।
হঠাৎ মনিরের মোবাইলে কল আসে সিএনজি করে অজ্ঞাত একদল লোক এসে বাসটির সামনে কি যেন ছিটিয়ে দেয় আর মূহুর্তেই আগুন ধরে যায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিতে। মনির এগিয়ে আসতে না আসতেই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৫ নভেম্বর) ভোরে এই ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপির।
এ বিষয়ে গাড়ি চালক মনিরুজ্জামান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঐদিকে ভোর ৫ টায় গার্মেন্টস এর ভাড়া মারি। গাড়িটা প্রায় সাড়ে ৪ টার দিকে আমি ঐ জায়গায় রাখছিলাম আর নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। মসজিদের ঢুকার সময় দারোয়ান কল করে আমাকে বলতেছে সিএনজি একটা এসে সী-বিচ থেকে কি মেরে দিছে আর বাসে আগুন ধরে গেছে। পরে পুলিশ এসে আমার নাম্বার নিছে। পোড়া গাড়িটা এখন থানার বাইরে রাখা আছে।
এদিকে ড্রাইভার মনিরের ভাই নাজিম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, গাড়িটা ছিল রাস্তার ঐ পাশে মহিলা কলেজের পাশে। গার্মেন্টস ভাড়া ছিল ৫ টায়। মহিলাদের উঠার জন্য ঐ জায়গায় গাড়িটা ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে নিয়ে আসছিল আমার ভাই।
সিএনজি করে কারা যেন আসে আমার ভাইয়ের গাড়ির সামনে কি ছিটিয়ে দেয় আর মূহুর্তে আগুন ধরে যায়। গাড়ির গ্লাসগুলো যেভাবে আগুনে ফুটছিলো প্রথম কেউ কাছেও যেতে পারে নাই। পরে বালু মেরে কোন রকম আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
আমারও গাড়ি আছে। ভাইয়ের গাড়িটা আমার গাড়ি দিয়ে টেনে থানা নিয়ে গেছি। অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেছি। বিকাল ৫ টায় যেতে বলছে। আমার ভাইয়ের একটা গাড়ি, গাড়িটার সবকিছু পুড়ে গেছে। কিছুই নাই।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোনে গণমাধ্যমেকে বলেন, ‘বাসটি পোশাক শ্রমিকদের নেওয়ার জন্য সেখানে অপেক্ষা করছিল। চালক বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে যান।’
‘একদল লোক সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কয়েকজন পোশাক শ্রমিকের সামনে তারা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলে।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান ওসি।