তারা সাত জন নারী। বের হন সকাল সাতটায়। নির্মাণাধীন ভবনই তাদের টার্গেট থাকে। ভবনের জন্য রাখা মালামাল নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয়। সন্দেহবশত: কেউ প্রশ্ন করলে বলে ইট ভাঙার কাজ খুঁজতে এসেছে। গত বুধবার রাতে এ চক্রের তিন সদস্যকে মালামালসহ গ্রেপ্তার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শামছুন্নাহার বেগম (৪০), হোসনে আরা বেগম (৩৮), রোকসানা প্রকাশ আফসানা বেগম (৪০)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮টি সার্কিট ব্রেকার, একটি কয়েল, ১০টি সার্কিট, সাদা কচটেপ ৩০ পিচ, ৯টি প্লাস্টিকের ইউপিভিসি, ১৭টি রেডিওয়াটার ইউপিভিসি, এস নিপলস-পিভিসি ১২টি, এস নিপলস-পিভিসি সাদা-ছোট ২১টি, নীল ছোট ২৩ টি, সার্কিট ইউপিভিসি ২টি এবং বড় এলবো ইউপিভিসি ৬৭টি। বাকি চার জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
(ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, তাদের মুখে থাকে মাস্ক। মাথায় থাকে ওড়না। পেশা তাদের চুরি। সংখ্যায় তারা সাতজন নারী। মধ্যবয়সী। ভোরে যখন মানুষ ঘুমায়, তখন তারা নামে চুরি করতে। বায়েজিদের রৌফাবাদ কলোনীর একটি নিমার্ণাধীন ভবনের সামগ্রী চুরির অভিযোগ জমা পড়লে অভিযানে নামে পুলিশ। ওই বিল্ডিংয়ে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তিন নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার স্টোর রুমে গিয়ে দেখেন তার ভবনের নির্মাণ সামগ্রী নেই। এ বিল্ডিংয়ের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন মামলার বাদি মো. রাহাত আলী। পরে সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেন ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা সাতজন মহিলা মুখে ওড়না ও মাস্ক পরে স্টোর রুমে প্রবেশ করে বিল্ডিংয়ের নির্মান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।