তাপদাহে দুর্ভোগে নগরবাসী

আগামী দুইদিন তাপমাত্রা একই থাকার আভাস

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

শ্রাবণ মাস চলছে। কিন্তু নেই শ্রাবণের বারিধারা। উল্টো এখন চলছে তীব্র তাপদাহ। গতকাল দিনভর এই তাপদাহে ঝরেছে ঘাম। যেন এক অস্বস্তিকর অবস্থা! এমন তাপদাহ থেকে রক্ষা দিতে পারে এক পশলা বৃষ্টি। কিন্তু দেখা নেই সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। তীব্র তাপদাহের সাথে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। আবহওয়া অফিসের কর্তারা জানালেন, আগামী দুইদিন এই তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। গতকাল নগরীর কয়েকটি পয়েন্টে দেখা গেছে, তাপদাহে ক্লান্ত মানুষ খুঁজছে ছায়া ও বিশ্রাম। গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যাও ছিল তুলনামূলক কম। এছাড়া ফুটপাতে শরবত ও পানীয়’র দোকানে দেখা যায় মানুষের ভিড়।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশিদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আজ (গতকাল) চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্র্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি বেশি। আগামী দুইদিন একই ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।

নগরীর কাজীর দেউরি এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের গরমের কারণে কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। কিছুক্ষণ কাজ করলে ক্লান্তি ধরে আসে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, কাজ না করলে খাবো কী?

এদিকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, ছায়া আছে এমন স্থানে রিকশা রেখে বিশ্রাম করছেন রিকশা চালকরা। তাদের একজন নগরীর জিইসি মোড় এলাকার রিকশাচালক জামাল আহম্মদদ। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ছয়টার সময় রাস্তায় নেমে দশটা পর্যন্ত রিকশা চালানো যায়। এরপর গরমে রাস্তায় আর থাকা যায় না। তাই প্রতিদিন দশটা পর্যন্ত রিকশা চালাই। আবার বিকাল পাঁচটার পর বাইরে আসি। যে পরিমাণ কাজ করতে পারি, তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে যায়। কারণ এখন আমাদের আয়ও কমে গেছে। এই গরমে টানা দুই ঘণ্টার বেশি একাধারে রিকশা চালানো সম্ভব নয়। একবার রোদের মধ্যে কোথাও গেলে বিশ্রাম নিতে হয়।

ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবু বকর সিদ্দিক দৈনিক আজাদীকে বলেন, গরমজনিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পেতে হলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে বাইরের আখের রস কিংবা লেবুর শরবত টাইপের পানীয় পান করা যাবে না। তীব্র গরমে শরীর থেকে প্রচুর লবণ বের হয়ে যায়। তাই ওর‌্যাল স্যালাইন ও ডাব খেতে হবে। অনেকে বাইরের রোদ থেকে বাসায় গিয়ে ফ্রিজের পানি পান করে কিংবা ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে। এটি কখনোই করা যাবে না। বাসায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর গোসল কিংবা পানি পান করতে হবে, না হলে মাথা ব্যাথা, সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরমের সাথে মানানসই কাপড় পরতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতবুও কমেনি ডিজেলের ব্যবহার
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে দুদকের গণশুনানি আজ