চারদিনের ম্যাচের প্রথম দিনেই লাগামটা নিজেদের হাতে নিয়ে ফেলেছিল ইমার্জিং টাইগাররা। প্রথম ইনিংসেই বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে স্পিনার তানভীর জানান দিয়েছিলেন ম্যাচটা তারই হতে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ড ওলভসকে ইনিংস হারের লজ্জা দিল ইমার্জিং
টাইগাররা। তানভীরের ঘুর্নিতে দিশেহারা হয়ে পড়া আইরিশরা হেরেছে এক ইনিংস এবং ২৩ রানে। ম্যাচটা জিতেছে স্বাগতিকরা আড়াই দিনে। ইনিংস ব্যবধানে জিততে গতকাল ম্যাচের তৃতীয় দিনে ছয় উইকেট দরকার ছিল স্বাগতিকদের। তানভির ইসলামের ঘূর্ণিতে ছয় উইকেট পেতে দুই সেশনও লাগল না বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল সফরকারী দলের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান হ্যারি ট্যাকটর ও কার্টিস ক্যাম্পার । দিনের শুরুটাও বেশ ভালই করেছিল। প্রথম সেশনটা বেশ নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছিলেন দুজন। ৫৮ রান যোগ করেছিলেন দুজন প্রথম সেশনে। উইকেট যখন পড়ছিলনা তখন বল হাতে নিলেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। প্রথম ওভারেই সাফল্য। দলীয় ৯৩ রানের মাথায় কার্টিস ক্যাম্পারকে এবাদত হোসেনের ক্যাচে পরিণত করে ভাঙ্গেন ৬০ রানের জুটি। ২২ রানে ফিরেন কার্টিস। এরপর তানভীরের ঘুর্নিতে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে থাকে আইরিশদের ব্যাটিং। ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারানো আইরিশ যুবারা পরের ৪৬ রান যোগ করতেই হারায় ৫ উইকেট। ফলে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। একপ্রান্ত থেকে ক্রমাগত উইকেট তুলে নিচ্ছিলেন তানভীর। তখনো অবশ্য চেষ্টা করছিলেন আয়ারল্যান্ড উলভস দলের অধিনায়ক হ্যারি ট্যাকটর। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলেননা তিনিও। যদিও প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা ট্যাকটর এই ইনিসে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু দলকে বড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেননা। দলকে ১১০ রানে রেখে ষষ্ট উইকেট হিসেবে ফিরেন ট্যাকটর। ১৩৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫৫ রান করে ফিরেন আইরিশ অধিনায়ক। এরপর বাকিদের তুলে নিতে মোটেও সময় নেননি তানভীর। তার ঘুর্নিতে একে একে সাজঘরে ফিরেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে গ্রাহাম হুমকে বোল্ড করে আইরিশদের ১৩৯ রানে থামিয়ে দেন তানভীর। ততক্ষনে অনন্য রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছেন তরুন এই স্পিনার।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষের ৮টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তানভীর। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫টি। সব মিলিয়ে তার শিকার ১৩টি উইকেট। আর তাতেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কারের জন্য তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলনা। আগামী ৫ মার্চ থেকে শুরু হবে ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ। বাকি দুটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ঢাকায়।