‘তাড়াতাড়ি রশি নিয়ে আসো, আমি আর পারছি না’

বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটে ডুবে যাওয়ার আগে কিশোর সিফাতের আর্তনাদ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ১৮ মে, ২০২৫ at ৪:২২ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ফেরিঘাটে সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছে সিফাত (১৭) নামের এক কিশোর। গতকাল শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ সিফাত কক্সবাজারের ইনানী বিচের ছেফাটখালি এলাকার মো. আমান উল্লাহর ছেলে। সে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট সড়কে নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিল। তবে শরীর খারাপ থাকায় শনিবার সে কাজে যোগ দেয়নি।

সিফাতের বন্ধু একই এলাকার বাসিন্দা মো. মোবারক (১৫) বলে, সিফাতের শরীর খারাপ থাকায় আমরা দুজন আজ (শনিবার) কাজে যোগ দিইনি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সে গোসল করবে বলে সাগরে নামে। পরে মাথায় শ্যাম্পু দিতে উঠে মজার ছলে উপর থেকে পানিতে লাফ দেয়। তখন ছিল জোয়ারের সময়। এক পর্যায়ে সে আমাকে ডাক দিয়ে বলেতাড়াতাড়ি রশি নিয়ে আস, জোয়ার বেশি, আমি আর পারছি না। তখন আমি দৌড় দিয়ে রশি এনে দেখি সে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় আমি এবং স্থানীয় কয়েকজন মিলে অনেকক্ষণ বোট নিয়ে সাগরে খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু তার আর খোঁজ মেলেনি। খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার স্টেশন এবং নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অনুসন্ধান চালালে তারাও খোঁজ পায়নি।

বাঁশবাড়িয়ায় বেড়াতে আসা মো. জিয়া উদ্দিন নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি দূর থেকে দেখতে পেলাম ছেলেটা মাথায় শ্যাম্পু দিয়ে সাগরে গোসল করতে নামছে। তার কিছুক্ষণ পরে দেখি তার সাথের একজন রশি নিয়ে ছোটাছুটি করছে। তখন বুঝতে পারলাম কিছু একটা হয়েছে। পরে শুনলাম ছেলেটা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিফাতকে উদ্ধারে সাগরে অভিযান চালিয়েছি। পাশাপাশি ঘটনার ব্যাপারে আগ্রাবাদ ডুবুরি ইউনিটকে অবহিত করি। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। সিফাতকে উদ্ধারে ডুবুরি ইউনিট অভিযান চালাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধহিটু শেখের প্রাণদণ্ড, ৩ জন খালাস