বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে নয়জন সম্ভাব্য মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশী রুয়ান্ডায় কয়েক সপ্তাহ আগে মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ঘোষণা দেওয়ার পর তা তাঞ্জানিয়াও ছড়াল। খবর বিডিনিউজের।
রয়টার্স জানায়, এই ভাইরাল হোমোরেজিক (রক্তক্ষরণজনিত) জ্বরটিতে মৃত্যুর হার খুব বেশি, প্রায় ৮৮ শতাংশ। ইবোলার জন্য দায়ী ভাইরাস আর এটি একই পরিবারের সদস্য। এই পরিবারের ভাইরাসগুলো ফল খায় এমন বাদুড়ের কাছ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এই বাদুড়গুলো পূর্ব আফ্রিকার স্থানীয় প্রজাতি।
ডব্লিউএইচও মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ১০ জানুয়ারি তাঞ্জানিয়ার কাগেরা অঞ্চলের সম্ভাব্য আক্রান্তদের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন পেয়েছে। আক্রান্তদের রোগ লক্ষণের মধ্যে মাথাব্যথা, প্রবল জ্বর, পিঠে ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্তবমি, পেশির দুর্বলতা ও চূড়ান্ত পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা যাচ্ছে।
দুজন রোগীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা নিয়ে তাঞ্জানিয়ার জাতীয় গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
তাঞ্জানিয়ার কাগেরা অঞ্চলের সঙ্গে রুয়ান্ডার সীমান্ত আছে। রুয়ান্ডায় ২০ ডিসেম্বর মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগেই দেশটিতে অন্তত ৬৬ জন এ রোগটিতে আক্রন্ত হন আর তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়। মারবার্গ ভাইরাস আক্রান্ত মানুষে সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে অথবা তার রক্ত বা শরীরের অন্যান্য তরলের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। পাশাপাশি দূষিত বিছানা ও পোশাকের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।