চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত শিল্পশৈলী পুরস্কার ২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তপন চক্রবর্তী বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণা ও বিজ্ঞান–সাহিত্যে উজ্জ্বল সূর্য। বিজ্ঞানের অসচরাচর কৌতূহলোদ্দীপক নানা বিষয় বাংলা ভাষায় প্রথমবারের মতো রচনাকারে উপস্থাপন করেছেন তিনি। অত্যন্ত সহজ–সরল প্রাঞ্জল তাঁর প্রকাশভঙ্গি। তপন চক্রবর্তী এমনই এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী, বহুমাত্রিকতায় উজ্জ্বল তাঁর জীবন। পেশাগত ও নেশাগত সৃজন–মনন উভয়ক্ষেত্রে এক সফল মানুষ তিনি।
গত ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিম। চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্তের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পশৈলী সম্পাদক নেছার আহমদ, সংক্ষিপ্ত জীবনীপাঠ করেন গল্পকার–অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া, গবেষক প্রাবন্ধিক ড. সেলিম জাহাঙ্গীর, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক বিচিত্রা সেন, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ সভাপতি সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, লেখক এস এম আবদুল আজিজ, কবি জসিম উদ্দিন খান, প্রাবন্ধিক রিটন কুমার বড়ুয়া ও অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর।
প্রধান অতিথি ড. ওবায়দুল করিম বলেন, অধ্যাপক তপন চক্রবর্তী বিজ্ঞান আর সাহিত্যের মধ্যে সমন্বয় করেছেন। বিজ্ঞান কেন সাহিত্য এই বিষয়ে আলোচনা করে তিনি বলেন, বিজ্ঞান ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অধ্যাপক তপন চক্রবর্তী বলেন, চট্টগ্রামকে সাংস্কৃতিক শহরে পরিণত করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম একাডেমি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, লেখালেখি এমন এক কর্ম, তার সঙ্গে থাকতে হয় সবসময়। তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে এই সম্মান পেয়ে ভালো লাগছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












