তক্ষক ও বিলুপ্ত পাখি খাঁচায় বন্দী করে পাচারের সময় বন প্রহরীরা ২ পাচারকারীকে আটক করেছে। গতকাল কাপ্তাই উপজেলার জীবতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো- জুরাছড়ি উপজেলার বাসিন্দা নির্মল চাকমার ছেলে চান্দু চাকমা এবং বিলাইছড়ি উপজেলার বাসিন্দা আবুল হোসেন মুন্সির ছেলে মো. নান্নু মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে কাপ্তাই থানায় মামলা করা হয়েছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তক্ষক ও বিলুপ্ত পাখি দুটি খাঁচায় বন্দী করে ঐ দুই ব্যক্তি পাচারের উদ্দেশ্যে উপজেলার জীবতলী এলাকা দিয়ে যাবার সময় বন বিভাগ গোপন সূত্রে খবর পায়। এ সময় বন প্রহরীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে তক্ষক ও পাখিসহ দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে। পরে উদ্ধার হওয়া তক্ষক ও পাখি দুটি সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ। পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) ছালেহ মো. সোয়াইব বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী বন জঙ্গল থেকে সব ধরণের পশু পাখি ধরা ও শিকার করা এবং সংরক্ষণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু সংঘবদ্ধ চক্র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রায় সময় বন জঙ্গল থেকে ফাঁদ পেতে বিভিন্ন পশু পাখি শিকার করে। এগুলো তারা প্রকাশ্যে বিক্রি এবং বিভিন্ন স্থানে পাচারও করে। এসব অবৈধ শিকারীদের কারণে বন জঙ্গল থেকে অনেক পশু পাখি প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। আইন অনুযায়ী বন্যপ্রাণী শুধু শিকারই নিষিদ্ধ নয় অনুমতি ছাড়া সংরক্ষিত বনে প্রবেশ করার প্রতিও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিনি সবাইকে আইন মেনে চলার অনুরোধ জানান।












