ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ৮ জনের আবাসিক সিটও বাতিল করেছে হল প্রশাসন। এ ঘটনায় ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষও বদল করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হক মুসলিম হলের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৮ জন ছাত্রের আবাসিক সিট হল প্রশাসন বাতিল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও হল ছাত্রলীগের সাবেক (সদ্য পদত্যাগকারী) উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল মিয়া, হল ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক উপ–সম্পাদক আহসান উল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের আল হোসাইন সাজ্জাদ, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মুত্তাকীন সাকিন শাহ, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াজিবুল আলম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ কবির এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবদুস সামাদ। তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ফিরোজ কবির এবং আবদুস সামাদ ছাড়া বাকিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তারা এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এদিকে তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকে সরিয়ে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল–মামুনকে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে গত বুধবার রাতে ৩২ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেন নির্যাতনের শিকার হন। রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন।