আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের প্রাক–নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল। বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক, আলাপ–আলোচনায় ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা।
গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, পুলিশ বাহিনী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ–কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে ইইউর প্রতিনিধিদল।
৮ থেকে ২৩ জুলাই এ সফরে মূল নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা–ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করবে প্রতিনিধিদলটি। ইউরোপীয় জোটের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেলের কাছে তারা তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনের আলোকে বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইইউ। খবর বাংলানিউজের।
গতকাল সচিবালয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইইউ’র প্রাক–নির্বাচনী অনুসন্ধানী দলটি।
বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে তা জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক–নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরে যান প্রাক–নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা। পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. মনজুর রহমান বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, না, এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলাপ–আলোচনা হয়েছে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালনকারী মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধি দল। বিকেলে গুলশান–২ নম্বরে ইইউ অ্যাম্বাসেডরের বাসায় বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপ–কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন।