বোয়ালখালীতে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গোমদন্ডী স্টেশন মাস্টার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৩টা ৮ মিনিটের দিকে বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী রেলওয়ে স্টেশনের বাহির সিগনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মূলত কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড ব্রেক বগির হুক ভেঙে (কাপলিং ভেঙে) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে মূল ট্রেনের সঙ্গে বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিটের পর চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চট্টগ্রাম স্টেশনের মাস্টার আবু জাফর মজুমদার বলেন, গোমদন্ডীতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে ওই লাইন এখন ব্লক (বন্ধ) হয়ে আছে। চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে বগিটি সরিয়ে নেওয়ার পর রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রেলওয়ের গোমদন্ডী স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক তারেক জানিয়েছেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার থেকে রওনা হয়। বিকাল ৩টা ৮ মিনিটের দিকে সেটি গোমদন্ডী স্টেশন ক্রস করে। গোমদন্ডী স্টেশন পার হওয়ার পর ট্রেনটির একদম শেষের বগিটির কাপলিং ভেঙে (হুক ভেঙে) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে প্রায় ৩০ মিনিট কক্সবাজার এক্সপ্রেস থেমে ছিল সেখানে। পরে বগিটিকে রেখে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। গার্ড ব্রেক বগিতে মূলত ট্রেনের পরিচালক বা গার্ড থাকেন। আর এই বগিতে খাবারও থাকে। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
উদ্ধারকারী ট্রেন এসে সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিটে বিচ্ছিন্ন বগিটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নিয়ে গেলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রবাল এক্সপ্রেস আমাদের গোমদন্ডী স্টেশনে আসে। ২ মিনিট পর প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা ছিল। আমার এখানে গোমদন্ডী স্টেশনে ৩টা ৪২ মিনিটে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিচ্ছিন্ন বগিটি উদ্ধার হতে দেরি হওয়াতে প্রবাল এক্সপ্রেস এবং দোহাজারীগামী ফার্নেস অয়েলবাহী একটি ওয়াগন ট্রেনটি জানআলী হাট স্টেশনে অপেক্ষায় ছিল। ৭টা ২ মিনিটে প্রবাল এক্সপ্রেস আমাদের গোমদন্ডী স্টেশনে ছেড়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে দোহাজারীগামী ফার্নেস অয়েলবাহী ওয়াগন ট্রেনটিও দোহাজারীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
