চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর হত্যাকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টিম।
সোমবার (২৬ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অবস্থিত একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ওসমান আলী সেগুন ও মো. আলভীন। তাদের মধ্যে ওসমান আলী বিদেশ পলাতক ও চট্টগ্রামের এইট মার্ডার মামলার আসামি সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের ভাই। আলভীন তাদের ভাগিনা।
বিষয়টি পুলিশ ও র্যাবের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও র্যাবের এক কর্মকর্তা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৮টার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার পশ্চিম পয়েন্টের ২৮ নম্বর দোকানের সামনে আড্ডারত অবস্থায় ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে রোববার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ঢাকাইয়া আকবর বড় সাজ্জাদের অনুসারী ছিলেন। নানান কারণে কয়েক বছর আগে থেকে গুরু সাজ্জাদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। এটি নিয়ে আকবরের সঙ্গে বড় সাজ্জাদের অনুসারী বর্তমানে কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরত্ব ছিল৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন আকবরকে। আকবরও ছোট সাজ্জাদ ও তামান্নাকে কটূক্তি করে ভিডিও দিতেন।
এদিকে আকবর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নগরের পতেঙ্গা থানায় সোমবার মামলা রেকর্ড হয়েছে। আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন। এছাড়া মামলায় ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামি হিসেবে সোমবার আটক ওসমান ও আলভীনের নাম রয়েছে। এছাড়া বাকি ৯ আসামি হলেন- মোবারক হোসেন ইমন (২২), রায়হান (৩৫), খোরশেদ (৪৫), মোহাম্মদ (৩৫), বোরহান (২৭), মো. হজরত আলী (৩৫), মো. হেলাল (২৯), মো. মইনুদ্দিন ওরফে শাহাবুদ্দিন সাবু (৩৩) ও জয়নাল আবেদীন রনি (৩০)।