ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল বন্ধের দাবি

চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগ গত ২০১৭ সালের পহেলা ডিসেম্বর থেকে মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে মোটরযান এঙেল লোড (ওজনসীমা) নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি এবং সীতাকুণ্ডের দারোগাহাটে স্থাপিত ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ছয় চাকার একটি ট্রাক কিংবা কাভার্ডভ্যানে ১৩ টনের বেশি পণ্য আনতে পারছেন না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়া দেশের আর কোনো মহাসড়কে ওজন স্কেল নেই। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে দেশের বাকি মহাসড়কেও ওজন স্কেল স্থাপন করা হবে। প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক ছাড়া আর কোথাও ওজন স্কেল স্থাপন করা হয়নি। এতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
এদিকে ওজন নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা হয়েছে, ছয় চাকার ক্ষেত্রে গাড়ির ওজনসহ সর্বোচ্চ ওজনসীমা ২২ টনের বেশি হতে পারবে না। অন্যদিকে গাড়ি ভাড়া কিন্তু কমেনি। পরিবহন ব্যয় বাড়ার কারণে চাল, ডাল, মরিচ-হলুদ এবং পেঁয়াজসহ প্রায় সব ধরনের বাজারে প্রভাব পড়ছে। আগে একটি ট্রাকে আনায়াসে ১৭-১৮ টন পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব হতো। কিন্তু নতুন আইনের কারণে ১২-১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে ১০ চাকার ওজনসীমা ৩০ টন এবং ১৪ চাকার ওজনসীমা সর্বোচ্চ ৪০ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে কোনো ব্যবসায়ী যদি ২০ টন পণ্য আনতে চান তাহলে ১৩ টনের বেশি বাকি ৭ টনের জন্য আরো একটি গাড়ি ভাড়া নিতে হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত খরচটা পরোক্ষভাবে ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময় গাড়ি সংকটের কথা বলে ভাড়া বাড়িয়ে দেন পরিবহন মালিকরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, মহাসড়ক যদি ওজনের চাপে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সরকারের উচিত আধুনিক নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়কের উন্নয়ন করা। কিন্তু এখানে ওজন স্কেল বসিয়ে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা কাম্য নয়। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ সীতাকুণ্ডের দারোগাহাট এবং কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ওজন স্কেল বন্ধ করে ২৩-২৪ টনের গাড়ি চলার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, অর্থ সম্পাদক হারাধন চৌধুরী, শিল্প ও সাহিত্য সম্পাদক মো. নাজমুল হক ও নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারী সহকারী কমিশনার অফিসে চুরি