প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। খবর বিডিনিউজের।
পরে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পেতে ১১ লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ১৪ জুন পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। ডিবি পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে এবং তারা স্বীকারোক্তিও দেয়। এরপরও মন্ত্রণালয় পরীক্ষার প্রক্রিয়া বাতিল না করে চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আদালতে এসেছি। আদালত এই ভর্তি প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ১৪ জুন সহকারী শিক্ষকের পদে নিয়োগ পেতে ১১ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৪৮ হাজারের মতো মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।