ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই সদরের পূর্বপাশের লেনে সড়কের পাশের পুরো ড্রেন ও চলাচলের জন্য সিসি ঢালাই সকল স্ল্যাব উঠিয়ে গ্যাস লাইন বসানো হয়। এরপর কোনভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলে যাবার পরই ধসে পড়া ভাঙাচোরা ড্রেনের ওয়াল ধসে কোথাও পুরো ড্রেন ধসে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে হেলেপড়া স্ল্যাবগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মীরসরাই থানা মসজিদ ও পল্লী বিদ্যুতের সামনে দিয়ে পুরো পাটাতনই ধসে পথচারিরা চলাচল করতে যেমন পারছে না, তেমনি আবার ভাঙা অংশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের উপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারিদের। অথচ মহাসড়কের মীরসরাই সদরের এই অংশটিই সবচেয়ে সংকীর্ণ স্থান। আবার অনেক ব্যস্ত এলাকা এটি।
স্থানীয় পথচারি মীর হোসেন (৫৪) বলেন, মীরসরাই কলেজ, পাইলট ও বালিকা বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের এই পৌর বাজার অংশে পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে প্রায় ১ মাস ধরে মহাসড়ক বন্ধ করার মতো যানজট ও জনজট সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো একটি গ্যাস লাইনের পাইপ বসাতে সড়ক উল্টানোর পর ভাঙাচোরা ঢালাই স্ল্যাবগুলো বসানোর জন্য রড দিয়ে পূর্বের মতো মজবুত করে না বসিয়ে নিম্ন মানের ইট দিয়ে কোনভাবে জোড়াতালি দিয়ে বসিয়ে ওরা চলে যায়। ওরা চলে যাবার পর এক মাসও যায়নি। প্রতিদিন কোনো না কোনো অংশ ধসে পড়ে সড়কের পূর্বের মজবুত ঢালাই হেলে–দুলে পড়ে যায়। যা এখন চলাচলে দুর্ভোগ ও হতাহত হবার মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মীরসরাই সদরের আরেক ভুক্তভোগী দোকানি গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা ভোগান্তি থেকে বাঁচতে গ্যাস কোম্পানির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। ওরা বৃষ্টি বন্ধ হলেই কাজ শুরু করবে বললেও চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাত প্রায় ছিলই না। কিন্তু ওরা কাজ করতে আসেনি এখনো।
এই বিষয়ে মীরসরাই পৌরসভার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন, পৌরসভার অর্থায়নে সড়কের সিসি ঢালাইয়ের ক্ষতি করা গ্যাস কোম্পানি পুরো ঢালাইয়ের বিভিন্ন ধসে যাওয়া স্থানগুলো ভালোভাবে আবার রিপেয়ারিং করে দেয়ার কথা। আমরা আবার চিঠি লিখবো তাদের কাছে। কর্ণফুলি গ্যাসের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উক্ত প্রকল্পের উপ–ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দীপন গ্যাসকে অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করার তাগাদা দিয়েছি। ওরা জানিয়েছে, বৃষ্টি একটু বন্ধ হলেই ওরা কাজ শুরু করবে।