নগরীর বেহাল সড়কগুলোকে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঝকঝকে রূপে দেখতে চান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত ও সক্রিয় রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল শনিবার বিকেলে পিসি রোড ও আইস ফ্যাক্টরি রোড পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র বিভিন্ন সড়কের তথ্য তুলে ধরে জানান, শহরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জাইকার অর্থায়নে অ্যাসপল্ট প্লান্টের মাধ্যমে মাঝির ঘাট রোড, স্ট্রান্ড রোড এবং পিসি রোডের কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে। আইস ফ্যাক্টরি রোডে নালার রিটেনিং ওয়ালের কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছিল। তবে এখন আর সেখানে সমস্যা নাই। রোডটিতেও কার্পেটিং কাজ চলছে। এই কাজগুলো ডিসেম্বরে শেষ হবে।
মেয়র বলেন, মেহেদীবাগ রোড, হালিশহর আনন্দ বাজার রোড, আবদুল লতিফ রোড, কে বি আমান আলী রোডের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে। অন্যান্য সড়কেও প্যাঁচওয়ার্ক কাজ চলামান রয়েছে। এসব কাজ তদারকী ও মান যাচাইয়ের জন্য কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অতি বৃষ্টি ও একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নষ্ট হয়েছে। এসব সড়ক যান ও সাধারণ মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক উপযোগিতা হারিয়েছে। সড়কগুলোতে আপাতত খানা-খন্দক ভরাট করে কিছুটা যান চলাচল উপযোগী করা হলেও বর্ষার কারণে এতদিন স্থায়ী সমাধানে বাস্তব কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
মেয়র বলেন, শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই সুযোগ এসেছে বর্ষণসহ নানাবিধ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও বেহাল সড়কগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার। তাই আমরা আমাদের প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে এ কাজে নিয়োজিত রেখেছি। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও বেহাল সড়কের কারণে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে। সেটা অস্বীকার করার উপায় নাই। সড়কের বেহাল দশার জন্য মানুষের মূল্যবান সময় অপচয় ও স্বাভাবিক নাগরিক জীবন-যাপন ব্যাহত হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তোরণে সাময়িক সংস্কার করা হলেও অতি বর্ষণের কারণে স্থায়ী সমাধান দেয়া সম্ভব ছিল না। তবে নানা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেহাল সড়ক সংস্কার, মেরামত ও স্বাভাবিক স্তরে উন্নীতকরণে স্থায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এবং সেই ভাবেই সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। যার সুফল আগামী ডিসেম্বর মাসেই পাওয়া যাবে।
পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, তৌহিদুল ইসলাম, আশিকুল ইসলাম ও আবু সিদ্দিক।