প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া এনসিপি নেতা আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মেল হকের অর্থায়ন থাকার কথা বলছে পুলিশ। ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম। খবর বিডিনিউজের।
এদিন গুলশান থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় নড়াইল–১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি এবং মোজাম্মেল হকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন আব্দুস সালাম। বেলা পৌনে ৩টার দিকে তাদের এজলাসে তোলা হয়। এর আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ–কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সভাপতি মোজাম্মেল হককে (৬৭) গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গুলশান ১ এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম দুজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আসামিরা আওয়ামী লীগের সব কর্মসূচির তিনি আয়োজক। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতারের ওপর নিউ ইয়র্কে ডিম নিক্ষেপে মোজাম্মেল হক বিকাশে টাকা দিয়েছেন। দেশকে অস্থিতিশীল, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে, দেশকে অস্থির করতে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, আসামিরা হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে সরকারবিরোধী কাজ করতেন। মুক্তি পেছন থেকে ভূমিকা পালন করেছে। তাদের সনাক্তে কাজ চলছিল। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরও বলেন, মুক্তি অবৈধ সংসদের সংসদ সদস্য। ফ্যাসিস্টের সহযোগী। নিউ ইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী তিন রাজনৈতিক দলের নেতাদের হয়রানি, মানহানি, অপমান করার চেষ্টা করেছেন। আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপ করেছেনে। এতে মোজাম্মেল হকের যোগসাজস ও সহযোগিতা আছে। তিনি অর্থায়নও করেছেন।