ডিপোর জন্য প্রয়োজন ৫০ একর জায়গা, প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা

নগরে মনোরেল । সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে লাগবে ৭ থেকে ৮ মাস

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

নগরের জনসংখ্যা ও যানজট বিবেচনায় গণপরিবহন ব্যবস্থায় আধুনিক সমাধান জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় মনোরেল নির্মাণ প্রকল্পে আধুনিক সমাধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মনোরেল চালু হলে নগরবাসী পাবেন নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ। এতে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, যানজট কমবে এবং নগর অর্থনীতি হবে আরও গতিশীল। তিনি গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রেস্টহাউসে অনুষ্ঠিত নগরে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের চিফ কোঅর্ডিনেটর ফয়সাল রহমান, আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউসার আলম চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ ও প্রকল্পটির চসিকের সমন্বয়ক আবু সাদাত মো. তৈয়ব।

সভার বিষয়ে জানতে চাইলে যা. শাহাদাত আজাদীকে বলেন, মূলত মনোরেলের ডিপো করার জন্য জায়গা বাছাই করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিপোর জন্য ৪০৫০ একর জায়গা প্রয়োজন। আবার তারা মূল সড়কের পাশে এ জায়গা চাচ্ছে। আসলে একসঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ জায়গা পাওয়া কঠিন। নন্দীরহাটে পেয়েছিলাম। সেটা ওনাদের পছন্দ হচ্ছে না বলল। তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহরে রূপান্তরে সিটি কর্পোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।

সভায় ‘আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়াম’এর প্রতিনিধিরা জানায়, মনোরেল চালু হলে ওরাসকম যাত্রী প্রতি অন্তত ৫ টাকা হারে সিটি করপোরেশনকে মুনাফা প্রদান করবে। প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে ২০২৫ বছর আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়াম নিজেরা পরিচালনা করবে। এরপর সিটি কর্পোরেশনকে প্রকল্পটি হস্তান্তর করবে। সেন্ট্রাল স্টেশন, স্টোরেজসহ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আনুমানিক ৫০ একর জায়গা লাগবে। প্রতিদিন মনোরেল পরিচালনায় ৩ হাজার ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে আনুমানিক ৭ থেকে ৮ মাস। নির্মাণকাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ বছর।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মনোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তবে সম্ভাব্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিদেশি দুই প্রতিষ্ঠান ‘আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়াম’। সরকারিবেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় মনোরেল নির্মাণ প্রকল্পটিতে বিনিয়োগ করা হবে এনএএস ইনভেস্টমেন্ট ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব ইজিপ্টের মাধ্যমে। গত ১ জুন চসিক ও ‘আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়াম’এর মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ প্রকল্পের সম্ভাবত্য যাচাইয়ে ফিল্ড সার্ভে শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘোষণার ১১ দিনের মাথায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর
পরবর্তী নিবন্ধপশ্চিম তীর যুক্ত করতে ইসরায়েলে বিল অনুমোদন, বাংলাদেশের নিন্দা