ফসফরিক এসিড সঙ্কটের কারণে দেশের একমাত্র ডিএপি সার উৎপাদনকারী কারখানাটি বন্ধ হয়ে পড়েছে। যার কারণে দৈনিক ৮ শত মেট্রিক টন সার উৎপাদন বন্ধ থাকায় ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়ায় অবস্থিত ডিএপি এফসিএল সার কারখানায় গত ৫ দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ। ফসফরিক এসিড আমদানির ক্রয়প্রস্তাব (দরপত্র) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন না পেলে কারখানা চালুতেও অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। এ শংকায় কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যেও উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। ডিএপি সার কারখানা সূত্রে জানা যায়, ফসফরিক এসিড মজুদ শুন্য হওয়ায় ফলে গত ১ জুলাই থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিসিআইসির পরিচালনাধীন দেশের একমাত্র ডিএপি সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড ক্রয়ের প্রস্তাব (আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে অনুমোদন লাভের জন্য গত ২ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এখনও তা অনুমোদন না পাওয়ায় প্রস্তাবটি ঝুলে আছে।
অতি কম সময়ের মধ্যে মন্ত্রিসভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন না পেলে কারখানাটির বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওদিকে সার উৎপাদন বন্ধ থাকার ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়কে এক লক্ষ টন সার সরবরাহ বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএপি সার কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আব্দুর রহমান বাদশা জানান, বর্তমানে ফসফরিক এসিড সংকটের কারনে কারখানার উৎপাদন গত ৫ দিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। গত ২ জুন ফসফরিক এসিড ক্রয়ের প্রস্তাবটি শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়, প্রস্তবটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরো জানান, কারখানায় দৈনিক ৮ শত মেট্রিক টন সার উৎপাদন হয়। এটি দেশের একমাত্র ডিএপি সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
কারখানার সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহাম্মদ জানান, ফসফরিক এসিড সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারখানার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফসফরিক এসিড সরবরাহ দিতে দেরি হলে কারখানাটির অনেক বেশি আর্থিক ক্ষতি হবে।