চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গতকাল সোমবার সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য শাখার উপ সচিব মু. জসীম উদ্দিন খান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুমন বড়ুয়া বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে যান। তদন্ত কার্যক্রমে প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি সময় হাসপাতালে অবস্থান করেন তারা। এসময় অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়ে নেন কমিটির সদস্যরা। তবে চিঠি দিয়ে তদন্তের দিন–সময় জানানো হলেও অভিযোগকারীদের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তদন্ত দলের প্রধান স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য শাখার উপ সচিব মু. জসীম উদ্দিন খান বলেন, আমরা মূলত হাসপাতালে প্রদত্ত অনুদান সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু নথিপত্র আমরা চেয়েছি। তারা সরবরাহ করেছে। তবে তদন্তাধীন বিষয়ে বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। এদিকে, তদন্ত কমিটির অপর সদস্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুমন বড়ুয়া আজাদীকে বলেন, অভিযোগকারীদের কেউ হাজির হননি। তাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. সুমন বড়ুয়া বলেন, অভিযোগ অনেক। সব অভিযোগ কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়। আমরা কেবল মন্ত্রণালয় কর্তৃক হাসপাতালে প্রদত্ত অনুদানের বিষয়ে তদন্ত করছি। ৪ বছরের আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আমরা দেখছি।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে কী না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হন নি তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে কমিটি বলছে– জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য এবং নথিপত্র পর্যালোচনা করে তারা এখন একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন। আর প্রতিবেদনটি যথাসময়ে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।
অন্যদিকে, বরাবরের মত গতকালও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী। তদন্ত কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটি কুচত্রক্রীমহল উঠেপড়ে লেগেছে। যে অভিযোগগুলো জমা পড়েছে, সেগুলো ভুয়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোনো অর্থ আত্মসাৎ হয়নি। সকল ব্যয় নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন হয়েছে। এরপরও তদন্ত দলের কাছে আমরা সব তথ্য হস্তান্তর করেছি। উনারা যা চেয়েছেন, সবই দিয়েছি।