দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পাওয়া আত্মবিশ্বাসী নেদারল্যান্ডস টলাতে পারেনি শ্রীলংকাকে। টানা তিন ম্যাচ হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া শ্রীলংকা চতুর্থ ম্যাচে এসে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। লক্ষ্ণৌতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬২ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে ৫ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলংকা। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ৫২ রানের ভেতরই হারিয়ে ফেলে কুশল পেরেরা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে। তবে এরপর হাল ধরেন পাথুম নিসাঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৫২ রানের জুটি শেষে নিসাঙ্কা ৫৪ রান করে ফিরে যান। তাতে অবশ্য জয়ের পথ থেকে সরে যায়নি শ্রীলংকা। চারিথ আসালাঙ্কার (৪৪) সঙ্গে ৭৭ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার (৩০) সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি বাঁধার পর দলের জয় নিশ্চিত করেন সামারাবিক্রমা। ১০৭ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচের শেষের মতো শুরুটাও ভালো ছিল না নেদারল্যান্ডসের। কসুন রাজিথার তোপে ১২ ওভারের ভেতরই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার বিক্রমজিত সিং, ম্যাক্স ও’ডাউড ও কলিন অ্যাকারম্যান। এরপর বাস ডে লেডে ও তেজা নিদামানুরুকে তুলে নেন আরেক পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডাচ রূপকথার নায়ক এডওয়ার্ডসও থিতু হতে পারেননি। ১৬ বলে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। কিন্তু এরপর হাল ধরেন এঙ্গেলব্রেখট ও ফন ভিক। সপ্তম উইকেটে বিশ্বকাপের রেকর্ড জুটি গড়েন তারা। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এমন পরিস্থিতিতে নেমে সপ্তম উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়েছিলেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা–মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাদের ছাড়িয়ে গতকাল ১৩০ রানের জুটি গড়েন এঙ্গেলব্রেখট–ফন ভিক। সপ্তম উইকেট বা তার নিচে এর চেয়ে বড় জুটি আর নেই। নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দলে এবার সবচেয়ে বড় চমক এঙ্গেলব্রেখট। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ খেললেও কখনো মূল দলে সুযোগ পাননি তিনি। বিশ্বকাপেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। প্রথম দুই ম্যাচে নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও গতকাল চাপের মুহূর্তে দারুণ এক ইনিংস খেললেন এই ব্যাটার। মাদুশঙ্কার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮২ বলে ৭০ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি বাঁধা ফন ভিকও পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা। ৭৫ বলে ৫৯ রানে থামেন তিনি। লঙ্কানদের হয়ে মাদুশঙ্কা ও রাজিথা দুজনেরই শিকার চারটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হন শ্রীলংকার সাদিরা সামারাবিক্রমা।