পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির তামাক ক্রয় কেন্দ্রের অফিস ডাকাতির প্রধান আসামি করিম ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার নিজবাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর দিকে করিমকে সাথে নিয়ে লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন পুলিশ। ডাকাত করিম পুলিশের সাথে প্রথমে তার বসতবাড়িতে যায়। সেখানে তার দেখানো জায়গায় দুইঘন্টা মাটি খুঁড়ে অভিযান চালিয়ে কিছু পায়নি পুলিশ।
এরপর বিকেল তিনটায় ডাকাত করিম পুলিশকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী সাবেক বিলছড়ি সিলটি পাড়ায়। সে প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। পরে বিকেলে পুলিশ কৌশল পাল্টিয়ে তার বাবার বাড়িতে অভিযান করে মাটির নিচ থেকে লুন্ঠিত ৭০ হাজার টাকা, দেশীয় তৈরী তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬টি তাজা কার্তুজ ও ডাকাতির অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
বান্দরবান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আব্দুল করিম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ইনচার্জ কামরুল আজম, লামা থানার তদন্ত ওসি (মামলার আইও) এনামুল হক, এসআই নরুজ্জামানসহ থানা পুলিশের একটি দল এ অভিযানে অংশ নেন। এই মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৮জন আটক হয়েছেন। এর মধ্যে প্রধান আসামী করিম, তার বাবা ওয়াছের আলী, মা আনোয়ারা বেগম ও স্ত্রী শাকিলা বেগম রয়েছেন। এ নিয়ে ৬ দফা অভিযান করে পুলিশ ৫২ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা, অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
বান্দরবান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ইনচার্জ কামরুল আজম বলেন, ‘ লুণ্ঠিত টাকা ও তার সহযোগীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ডাকাত করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেয়া হবে।’
অভিযান শেষে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বান্দরবান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও লামা থানা পুলিশের যৌথ টিম সফল অভিযানটি পরিচলনা করেছে। ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।।