ডাকাত এসেছে গুজবে মানুষের নির্ঘুম রাত

সাতকানিয়ার বন্যা দুর্গত এলাকা

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১১ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় ডাকাত এসেছে গুজবে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে মানুষ। গত বুধবার রাতে উপজেলার চরতি, নলুয়া, ঢেমশা, কেঁওচিয়া ও সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গত কয়েকদিন ধরে বন্যার পানিতে ভাসছে সাতকানিয়া। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার মাধ্যম হলো নৌকা। ঘটনার দিন রাতে সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়া পাড়ার রাশেদুল ইসলামের বাড়ির পাশ দিয়ে ডলুনদী হয়ে ৩টি নৌকা যাচ্ছিল। তখন লোকজন ডাকাত সন্দেহে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। পরে নৌকা ৩টি অপর দিকে চলে যায়। কিন্তু আশপাশের এলাকার মানুষও ডাকাত ডাকাত চিৎকার দিতে থাকে।

অন্যদিকে, নলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ঘটনার দিন রাতে কার্তিকের দোকান এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন ভুলে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিতে থাকে। তখন চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী পুলিশকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি মসজিদের মাইকে প্রচার করার পর ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়। ততক্ষণে চার পাশের গ্রামের মানুষ ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তারাও ডাকাত ডাকাত চিৎকার করতে থাকে। এভাবে নলুয়া, ঢেমশা ও কেঁওচিয়ার মানুষও থেমে থেমে রাতভর চিৎকার করতে থাকে।

এছাড়া চরতির ব্রাক্ষ্মনডেঙ্গা এলাকায় নদীতে নৌকা দেখে স্থানীয় লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিতে থাকে। পরে নৌকাবাহী লোকজন আনোয়ারার দিকে চলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে ডাকাত ডাকাত চিৎকার অন্যান্য গ্রামেও চলে যায়। পরে তারাও ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। এভাবে ডাকাত ডাকাত চিৎকার করতে করতে নির্ঘুম রাত কাটে এসব এলাকার মানুষের।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত জানান, সব গুজব। কোথাও কোন ডাকাত আসেনি। কোন জায়গায় ডাকাতিও হয়নি। তবুও ভুল বুঝাবুঝি থেকে অনেক এলাকার মানুষ ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে করতে রাত কাটিয়ে দিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই দিন পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু
পরবর্তী নিবন্ধনতুন জঙ্গি দল জামাতুল আনসার নিষিদ্ধ ঘোষণা