ব্যস্ততম চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া থেকে কক্সবাজারের লিংক রোড পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার জুড়ে দুই পাশের শত শত শোল্ডার (ডাউন) অংশে মাটি ফেলে মূল সড়কের সাথে সমান্তরাল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন দেখা গেছে, দুই পাশের ডাউন অংশের গভীর ও মাঝারি খাদ তথা ভয়াবহ মৃত্যুফাঁদ এড়াতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত এক সপ্তাহ ধরে মাটি ফেলার কাজ শুরু করে। এতে বর্তমান বিদ্যমান ২২ ফুট প্রস্থের সাথে দুই পাশের অন্তত ৫ ফুট করে ১০ ফুট যোগ হলে মহাসড়কটিতে অত্যধিক যানবাহনের চাপ মোটামুটি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও ভয়াবহ দুর্ঘটনা বা মৃত্যুফাঁদ থেকে রক্ষা পাবে যানবাহন। প্রসঙ্গত, ব্যস্ততম চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের শোল্ডার অংশ ভয়াবহ মৃত্যুফাঁদ হয়ে ওঠা নিয়ে গত ৭ মার্চ দৈনিক আজাদীতে ‘বিপজ্জনকভাবে সরে গেছে ডাউন অংশের মাটি’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২২ ফুট প্রস্থের সড়কটিকে নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত করতে ডাউন অংশে জরুরি ভিত্তিতে মাটি ফেলার কাজ শুরু করে। এতে স্বস্তি দেখা দেয় মহাসড়কটিতে চলাচলরত যানবাহনের চালক–সহকারী থেকে শুরু করে যাত্রী সাধারণের মাঝে।
সরেজমিন আরও দেখা গেছে, আলাদা ওয়ানওয়ে লেন না থাকায় সড়কটিতে দূরপাল্লার পরিবহনের পাশাপাশি চার চাকার লেগুনা, ইজিবাইকসহ তিন চাকার যানবাহনও চলাচল করায় মুহূর্তেই ঘটছে বড় বড় দুর্ঘটনা। এতে সড়কে ঝরে পড়ছে তাজা প্রাণ। পাশাপাশি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সড়ক থেকে গভীর খাদে ছিটকে পড়ছে যানবাহনগুলোও। মহাসড়কটিতে চকরিয়ার অংশ রয়েছে দীর্ঘ ৩৯ কিলোমিটার। তদ্মধ্যে উত্তর সীমান্তের আজিজনগর থেকে হারবাং, বরইতলী, পৌরসভা হয়ে দক্ষিণাংশের ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশের ডাউন অংশে মাটি বা ম্যাকাডম সরে গিয়ে মারাত্মকভাবে গভীর ও মাঝারি খাদের সৃষ্টি হয়। এতে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো নিজস্ব গতিতে চলাচল করতে গিয়ে বাঁক অতিক্রম করাসহ দুই পাশের গভীর ও মাঝারি খাদের সামনে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে আসছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ–সহকারী প্রকৌশলী (এসও) কুতুব উদ্দিন তালুকদার বলেন, দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যস্ততম চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কটির চকরিয়া থেকে কক্সবাজার লিংক রোড পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার জুড়ে দুই পাশের ডাউন অংশের শত শত স্থানে মাটি বা ম্যাকাডম সরে গিয়ে যে গভীর ও মাঝারি খাদের সৃষ্টি হয়েছে সেসব অংশ ভরাট করা হচ্ছে দ্রুতগতিতে। এতে রমজান শেষে আগত ঈদের আগেই মহাসড়কটি অনেকটা নিরাপদ হবে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান ২২ ফুট প্রস্থের মহাসড়কটির প্রশস্ততা বাড়ানোসহ দুই পাশের যেসব স্থানের ডাউন অংশে গভীর ও মাঝারি খাদ সৃষ্টি হয়েছে সেখানে মাটি ফেলার কাজ শেষ করা হবে। এর পর ম্যাকাডম দিয়ে বিটুমিনাস সড়কটির সঙ্গে সমান্তরাল করে দেওয়া হবে। জরুরি ভিত্তিতে এই কাজ সম্পন্ন হলে দুর্ঘটনা একেবারে কমে আসবে।