চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডবলমুরিং থানায় বে-আইনি জনতা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী।
মামলায় বাদী হয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মো. ইমাম হোসেন। যার থানা মামলা নম্বর-১২/১৬২।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটের সময় ডবলমুরিং থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারা ও প্যানেল কোড ধারায় মামলাটি হয়েছে।
আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে অজ্ঞাতনামা ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার উচ্ছৃঙ্খল জনতা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে অবৈধভাবে থানায় অনধিকার প্রবেশ করে।
তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অগ্নিসংযোগ করে থানা ভবন, থানায় থাকা যানবাহনের কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে সরকারি কর্মচারিকে আক্রমণ, কর্তব্য পালনে বাধা দান, করে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি লুটপাট, সরকারি ও ব্যক্তিগত মালামাল ও যানবাহন চুরি করে। এতে সর্বমোট ১ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয় বলে জানানো হয়।
এ সময় থানায় দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁদের গুরুতর আহত করে আসামিরা। এছাড়াও আসামিরা থানা ভাঙচুর করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে ক্ষতিসাধন করেন।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনার সরকার।