অতিরিক্ত ডিউটির সুযোগ-সুবিধা বাতিল করায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন নিয়ে যাচ্ছেন না লোকোমাস্টাররা (ট্রেনচালক)। অতিরিক্ত ডিউটিতে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা বাতিল করার খবরে গতকাল
পাহাড়তলীতে ট্রেন চালকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ট্রেন চালকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় ঘটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সোনার বাংলা ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি প্রায় ৪০ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়। একইভাবে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেন চালক না থাকায় ট্রেনটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছেড়ে গেছে।
একাধিক লোকোমাস্টার গতকাল রাতে আজাদীকে জানান, আগে অতিরিক্ত কাজের জন্য ট্রেন চালকসহ রানিং স্টাফদের মাইলেজসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় সেই সুযোগ-সুবিধা বাতিল করার খবরে ট্রেন চালকেরা অতিরিক্ত কাজ করছেন না।
লোকোমাস্টারসহ রানিং স্টাফরা প্রতি ১০০ মাইল বা ৮ ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনার জন্য এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ (রানিং ভাতা বা মাইলেজ) প্রাপ্য হন। শুনেছি আমাদের মাইলেজ বাতিল করা হয়েছে। তাই লোকোমাস্টাররা অতিরিক্ত ডিউটি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডিউটি করার পরও লোকবল সংকট থাকায় আমরা এতদিন অতিরিক্ত কাজ করে যেতাম। এই জন্য সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হত। কিন্তু হঠাৎ করে সেই সুবিধা বাতিল হয়েছে। তাই আমরা এখন আমাদের নির্দিষ্ট ডিউটি করবো। বাড়তি ডিউটি করব না। বাড়তি ডিউটির জন্য বাড়তি সুযোগ-সুবিধা না দিলে কেন করবো?
জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২০ জন লোকোমাস্টার থাকার কথা। কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ৬৫ জন। ১২০ জনের কাজ করছেন তারাই। তাই তাদের বাড়তি কাজ করতে হয়। যারা অতিরিক্ত কাজ করবেন তাদের জন্য মাইলেজসহ (ভাতা) বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হত।