ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জানিয়েছেন, তার সঙ্গে প্রায় ১০ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোনে কথা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কথোপকথন শ্রদ্ধাপূর্ণ ও আন্তরিক ছিল। গতকাল বুধবার সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে মাদুরো বলেন, এই ফোন কলের অর্থ যদি হয় আমাদের দুই দেশের মধ্যে শ্রদ্ধাপূর্ণ সংলাপের দিকে পদক্ষেপ, তাহলে সংলাপকে স্বাগত জানাই, কূটনীতিকে স্বাগত জানাই। সোমবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স এই ফোন কলের বিষয়ে জ্ঞাত চার মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, ফোনে মাদুরো ট্রাম্পকে বলেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলা ত্যাগ করবেন, যদি তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ আইনি ক্ষমা মঞ্জুর করা হয়, এর সঙ্গে সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি তিনি ভেনেজুয়েলার শতাধিক সরকারি কর্মকর্তার ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এই কর্মকর্তাদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। ওই কর্মকর্তাদের মধ্যে দুইজনের ভাষ্য অনুযায়ী, মাদুরো জানিয়েছেন যে তার পদত্যাগের পর নতুন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলসি রদ্রিগেজ একটি অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করবে। ট্রাম্প এসব অনুরোধের অধিকাংশই প্রত্যাখ্যান করেন আর মাদুরোকে বলেন, তিনি পরিবারের সদস্যসহ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পছন্দের গন্তব্যে চলে যেতে এক সপ্তাহ সময় পাবেন। ট্রাম্পের দেওয়া ওই এক সপ্তাহ সময়কাল শুক্রবার শেষ হয়েছে।
এরপর শনিবার ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেন, জানিয়েছেন দুজন মার্কিন কর্মকর্তা। রোববার ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে তিনি মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি। এই ফোন কলের বিষয়ে হোয়াইট হাউজও বিস্তারিত আর কিছু জানাতে রাজি হয়নি। ক্যারিবীয় সাগরে কথিত সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে প্রাণঘাতী হামলা, সামরিক অভিযানের হুমকি এবং কার্টেল দে লোস সোলসকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণাসহ কয়েক মাস ধরে ভেনেজুয়েলার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপের পর ২১ নভেম্বর টেলিফোনে দুই নেতার মধ্যে ১৫ মিনিট ধরে এই কথোপকথন হয়।











