সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এফবিআই ১১ হাজারের বেশি সরকারি নথি ও আলোকচিত্র এবং ‘গোপনীয়’ লেখা ৪৮টি খালি ফোল্ডার উদ্ধার করেছে। শুক্রবার প্রকাশিত আদালতের নথি থেকে এসব জানা গেছে। অগাস্টের শুরুতে ওই বাড়ি থেকে জব্দ জিনিসপত্র পর্যালোচনায় বিশেষ কাউকে নিয়োগ দিতে ট্রাম্পের আবেদনের বিষয়ে তার অ্যাটর্নি ও আইন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ দুই কাউন্টারইন্টিলিজেন্স কৌঁসুলির মৌখিক যুক্তিতর্ক শোনার পরদিন ওয়েস্ট পাম বিচের বিচারক অ্যালিক ক্যাননের মাধ্যমে আদালতের এসব নথি প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ কাউকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ক রায় মুলতুবি রাখলেও ক্যানন যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়া দুইটি নথি প্রকাশে রাজি হয়েছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে ট্রাম্পের আমলে নিয়োগ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার নথিপত্র পর্যালোচনায় বিশেষ কাউকে নিয়োগ দেওয়ার উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয় এই পর্যায়ে, যেখানে এফবিআই নথিপত্র নিয়ে এতখানি এগিয়ে গেছে, আমার মনে হয় এ ধরনের কোনো নিয়োগ হবে সময়ের অপচয়, ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন তিনি। ২০২০ সালে হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে, ট্রাম্পের এমন দাবির পক্ষে অবস্থান নিতে অসম্মতি জানিয়ে ওই বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন বার। নথিপত্রগুলো ‘গোপনীয়’ হলে ট্রাম্পের সেগুলো ফ্লোরিডার বাড়ি নিয়ে রাখার ‘আইনি যৌক্তিকতাও’ দেখছেন না বলে সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি।
তিনি যেভাবে বলেন যে ‘আমি সব গোপনীয় নয় শ্রেণিভুক্ত করেছি’ এই দাবির বিষয়েও আমি সন্দিহান। এটা মোটামুটি অসম্ভব আর তিনি যদি ভেতরে কী আছে তা পুরোপুরি না জেনেই এই পরিমাণ বাঙ নিয়ে থাকেন এবং বলেন, ‘আমি এখানকার সব নথি গোপনীয় নয় শ্রেণিভুক্ত করলাম’ তাহলে তা এতো বেশি ক্ষমতার অপব্যবহার হবে, এতটা বেপরোয়া কাজ হবে যে নথিগুলো বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেয়েও তা বাজে হয়ে দাঁড়াবে, বলেছেন তিনি। শুক্রবার প্রকাশিত নথির একটিতে এফবিআই ট্রাম্পের বাড়ি মার-আ-লগো থেকে যে ৩৩টি বাঙ ও অন্যান্য জিনিস পেয়েছিল, সেগুলোর কিছুটা বিবরণ আছে।