যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি প্রচারের সময় থেকেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে এসেছিলেন, জয় পেলে গণহারে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা কাগজপত্রহীন অভিবাসীরাই তার এ কর্মসূচি নিশানা হবে।
‘আমেরিকার ইতিহাসে অভিবাসী বিতাড়নের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এটিই হবে’ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনার আওতায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে আমূল রদবদলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে তিনি অভিবাসন ইস্যুতে তার পরিকল্পনা জানিয়ে বলেছিলেন, কর্মক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক অভিযান চলতে পারে, সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র–মেঙিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার খরচ মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল কাজে লাগানো হতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
এ বছরের নির্বাচনে ট্রাম্প এরই মধ্যে ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ক্ষমতা নেওয়ার পর রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে তিনি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কাজে লাগাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিদেশে কূটনীতিক পর্যন্ত প্রত্যেককেই তিনি ডাকতে পারেন এবং রিপাবলিকান–নেতৃত্বাধীন রাজ্যগুলোর সহোযোগিতা নিয়েও কাজ করতে পারেন ট্রাম্প। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছে আনুমানিক ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী। বছরে বছরে এই অভিবাসীদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্স বছরে কতজন অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হতে পারে তার আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছিলেন, প্রতি বছর বের করে দেওয়া হতে পারে ১০ লাখ মানুষকে। অভিবাসনের পক্ষে যারা সোচ্চার তারা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ হবে ব্যয়বহুল, বিতর্কিত এবং অমানবিক। এর ফলে বহু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন কমিউনিটি বিপর্যস্ত হতে পারে।