যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের আগেই বিদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সমপ্রতি ইমেইল বার্তার মাধ্যমে তাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের মধ্যে দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে। এর মধ্যে আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হঠাৎ এমন সতর্কবার্তায় অনেকে রীতিমত চিন্তায় পড়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো ডেনভারের অধ্যাপক ক্লোই ইস্ট বলেন, বিদেশি সব শিক্ষার্থীরা এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় বসে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ কাজে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিযানের ফলে যারা বেকায়দায় পড়তে পারেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা হায়ার অ্যাড ইমিগ্রেশন পোর্টালে’র তথ্যে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে অনথিভুক্ত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে চার লাখেরও বেশি। যদিও ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়ে বলছেন যে, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের রাখার জন্য তারা বড় ধরনের আবাসনের ব্যবস্থা করবেন। অভিজ্ঞ অভিবাসন কর্মকর্তা ও ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সীমান্ত জার টম হোম্যান বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ভয়ঙ্কর অপরাধী ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি–এমন মানুষজনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবেন।
ক্লোই ইস্ট বলেন, শিক্ষার্থীদের খুব একটা ভয় পাওয়ার কথা না বলা হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েই গেছে। অভিবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখন ভীষণ চাপে রয়েছেন।