বাংলাদেশের সাথে ভারতের ট্রানজিট চুক্তির আওতায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরো একটি কন্টেনার পৌঁছল চট্টগ্রাম বন্দরে। এটিকে পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল রান) চালান বলে উল্লেখ করে সূত্র বলেছে, এটি কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসাম যাবে। গত রাত ৮টা নাগাদ এমভি ট্রান্স সামুদেরা নামের জাহাজটি রড বোঝাই কন্টেনার নিয়ে বন্দরের এনসিটি জেটিতে নোঙর করে। বন্দরের শক্তিশালী টাগ কান্ডারী ১১ জাহাজটিকে বার্থিংয়ে সহযোগিতা করে। সূত্র বলেছে, চট্টগ্রাম বন্দর ও বাংলাদেশের মহাসড়ক ব্যবহার করে ভারত থেকে সেদেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চুক্তি করে ভারত। ওই চুক্তির আওতায় প্রথম চালান এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ওই সময় ভারতীয় পণ্যবোঝাই চারটি কন্টেনার নিয়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি সেঁজুতি’ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল। পরে এখান থেকে কন্টেনার দুটি খালাস করে ট্রানজিটের আওতায় সড়কপথে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে পাঠানো হয়। ট্রানজিটের আওতায় আসা ওই চালানটির পর প্রায় দুই বছর পুরো বিষয়টি থমকে ছিল। অবশেষে গত সপ্তাহে একটি কন্টেনার আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। এখান থেকে আখাউড়া হয়ে চালানটি ভারতে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে গত রাতে আবারো একটি চালান এল চট্টগ্রাম বন্দরে।
ম্যাঙ্গোলাইন শিপিংয়ের এমভি ট্রান্স সামুদেরা নামের জাহাজটি গতকাল রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছলে নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের ১ নম্বর জেটিতে নোঙর করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় জাহাজটি কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিল। জাহাজটিতে ১২০ টিইইউএস কন্টেনার রয়েছে। রাতের মধ্যে কন্টেনারগুলোর খালাস কাজ সম্পন্ন হবে।
ট্রানজিট পণ্যভর্তি কন্টেনারটি বিশেষ তত্ত্বাবধানে আলাদা রাখা হবে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এটি সড়কপথে আখাউড়া হয়ে ভারতের আসাম যাবে।