নিষিদ্ধ ট্যানারি বর্জ্য মিশিয়ে মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন করার দায়ে নগরীর এক ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নগরীর বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই রাজাখালী রোডে অবস্থিত মেসার্স আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স ময়না এগ্রোভেট ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এই সময় নিষিদ্ধ ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পোল্টি ফিড উৎপাদনে জড়িত থাকায় প্রতিষ্ঠান দুইটির মালিক মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং বিপুল পরিমাণ পোল্ট্রি ফিড ধ্বংস করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। এর আগে বুধবার রাতে সালাউদ্দিনের দুটি প্রতিষ্ঠান ও একটি গুদামে অভিযান চালায় বাকলিয়া থানা পুলিশ। নিষিদ্ধ পণ্য দিয়ে পোল্ট্রি ফিড তৈরির সত্যতা পাওয়ায় কারখানা ও গুদামে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানে ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে মুরগী ও মাছের ফিড তৈরির সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সালাউদ্দিনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ক্ষতিকর ট্যানারি বর্জ্য ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাকলিয়া থানার ওসি আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, নিষিদ্ধ ট্যানারি বর্জ্য মিশিয়ে মাছ–মুরগির খাদ্য তৈরি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাজাখালী রোডে দুটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে প্রতিষ্ঠানের মালিককে জরিমানা করেন। কারখানা থেকে ২৫০ বস্তা ট্যানারি বর্জ্য ধ্বংস করা হয়েছে। ট্যানারির বর্জ্য জনস্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বিধায় এসব ব্যবহার করে পোল্ট্রি ফিড এবং মাছের খাদ্য তৈরি না করার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।